ঝালকাঠি পাসপোর্ট অফিস নতুন ভবনে স্থানান্তর করা হয়েছে। শহরের কৃষ্ণকাঠি এলাকার বিশ্বরোড সংলগ্ন পুরাতন কার্যালয় থেকে ১০০ ফুট দূরে নির্মাণ করা হয়েছে তিনতলা বিশিষ্ট পাসপোর্ট ভবনটি।
রোববার (২৭ আগস্ট) সকাল থেকে নতুন এ ভবনে অনানুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
ঝালকাঠি পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম খান জানান, ঝালকাঠি পাসপোর্ট অফিস ২০১৩ সালে মেশিন রিডেবল কার্যক্রমের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু হয়। এর আগে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের একটি কক্ষে এনালগ পাসপোর্টের কার্যক্রম চলে। ২০১৩-২৩ সাল পর্যন্ত দীর্ঘদিন শহরের কৃষ্ণকাঠি এলাকায় ব্যক্তি মালিকানা ভবনে ভাড়ায় চলতো।
ঝালকাঠি গণপূর্ত অধিদপ্তর নতুন ভবন তৈরির জন্য অনুমোদন ও বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তিনতলা বিশিষ্ট আধুনিক পাসপোর্ট ভবন নির্মাণ করে। ৯ আগস্ট বরিশালের বিভাগীয় পাসপোর্ট অধিদপ্তরের উপপরিচালকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কাছে ভবনটি হস্তান্তর করে গণপূর্ত বিভাগ। অফিসার কার্যক্রম ও প্রক্রিয়া শেষ করে বৃহস্পতিবার থেকে মালামাল স্থানান্তর করা শুরু হয়। টানা তিনদিন স্থানান্তরের পরে রোববার সকালে নতুন ভবনে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ভবনের প্রবেশদ্বারের সেন্ট্রিগার্ড অতিক্রম করলেই নিচতলায় ১০১ নম্বর কক্ষ পাসপোর্টের আবেদন ফরম জমাদান, ১০৩ নম্বর কক্ষে পুরুষের জন্য ও ১০৪ নম্বর কক্ষে নারী, শিশু ও রোগগ্রস্ত ব্যক্তিদের ছবি তোলা, আঙ্গুল ও চোখের ছাপ নেওয়া হয়। ১০২ নম্বর কক্ষে সম্পন্ন হওয়া পাসপোর্ট বিতরণ করা হয়। ভবনের দ্বিতীয় তলায় সহকারী পরিচালকের কার্যালয় এবং তৃতীয় তলায় কর্মকর্তার বাসভবন। নতুন ভবনে নতুন পরিবেশে সেবাগ্রহীতা ও সেবাদাতা সবাই খুশি মনে কাজ করছেন।
ঝালকাঠী