নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: দিনাজপুর পৌরসভা নির্বাচনে প্রচারণা শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তের হামলার শিকার হয়েছেন ১২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রাথী ও বর্তমান কাউন্সিলর আশরাফুল আলম রমজান (৪০)। এ সময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে মো. মুন্না (২২) নামক এক কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন।
সোমবার দিবাগত রাত ১২টায় দিনাজপুর শহরের কসবা এলাকার আলামিয়া মসজিদের পাশে হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহত কাউন্সিলর প্রার্থী আশরাফুল আলম রমজান ওই ওয়ার্ডের টানা দুইবারের কাউন্সিলর। তিনি তৃতীয়বার কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন। তিনি যুবলীগের দিনাজপুর শহর শাখার সভাপতির পদে রয়েছেন। আহত মুন্না একই এলাকার বাদল হোসেনের ছেলে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, কাউন্সিলর প্রার্থী আশরাফুল আলম রমজানের বাম হাত ও বাম পা ভেঙে গেছে। এছাড়াও মাথা ও শরীরে বিভিন্ন আঘাত করা হয়েছে। কর্মী মুন্নার মাথায় ১০টি সেলাই ও বাম হাতে ২টা সেলাই পড়েছে।
আশরাফুল আলম রমজান জানান, রাতে প্রচারণা শেষে এক কর্মীর বাসায় যাই। সেখান থেকে ফেরত আসার সময় কসবা আলামিয়া মসজিদের পাশে ৬ জন সশস্ত্র হামলা করে। দুর্বৃত্তরা লোহার রড ও হাসুয়া দিয়ে আমার ওপর হামলা করে। এ সময় আমাকে রক্ষা করতে আসলে মুন্নাকে দুর্বৃত্তরা হাসুয়া দিয়ে কোপায়। এ সময় আমাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। হামলাকারীরা মুখে মানকি টুপি ও মাস্ক পড়া অবস্থায় ছিলো। পরে এলাকাবাসী আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, সম্প্রতি কসবা আলামিয়া গোরস্তান কমিটির নির্বাচনে আমি সভাপতি নির্বাচিত হই। এছাড়াও আমি টানা তৃতীয়বারের মতো কাউন্সিলর নির্বাচন করছি। এতে প্রতিপক্ষরা আমার ওপর হামলা করতে পারে বলে আমি ধারণা করছি।
এদিকে দিনাজপুর কোতয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আসাদুজ্জামান জানান, এ ব্যাপারে আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ আসেছি। হামলার খবর পেয়ে আমি রাত থেকেই তদন্ত শুরু করেছি। তারা অভিযোগ দিলে তারপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।