নিজস্ব প্রতিবেদক:: বরিশাল মহানগর বিএনপিতে এবার প্রকাশ্যে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। দীর্ঘ বছর ধরে কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও নগর বিএনপির সভাপতি মজিবর রহমান সরোয়ারের নেতৃত্বেই এখানকার বিএনপি পরিচালিত হয়ে আসছিল। এমনিক বিরোধিতা থাকলেও সব কর্মসূচি পালিত হয়েছে তার নিয়ন্ত্রণেই। কিন্তু হঠাৎ করে গত এক সপ্তাহের মধ্যে নগর বিএনপির ব্যানারে পৃথক দুটি কর্মসূচি পালন করেছেন সরোয়ার বিরোধীরা। এগুলো হচ্ছে বিভাগীয় সমাবেশ ও ভাষা দিবস। এর ফলে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন সরোয়ার অনুসারীরা।
২০১৩ সাল থেকে বরিশাল নগর বিএনপির সভাপতি মজিবর রহমান সরোয়ার। এরপর থেকে সরোয়ার অনুসারীদের চাপে কোণঠাসা হয়ে পড়ে দলটির একাংশের নেতারা। এর মধ্যে যেমন মূল বিএনপির নেতারা রয়েছেন, তেমনি ছাত্রদল, যুবদলের সাবেক ও বর্তমান নেতারাও রয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে এসব নেতাদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ এখন প্রকাশ্যে রূপ নিচ্ছে। এর নেপথ্যে কারণে নগর বিএনপিতে গুরুত্বপূর্ণ পদ পাওয়া, না পাওয়া।
গত রোববার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী দলীয় কার্যালয় থেকে রওনা হয়ে সরোয়ারের নেতৃত্বে নগর বিএনপির নেতাকর্মীরা সকাল সাড়ে ১০টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এর দেড় ঘণ্টা আগে সকাল ৯টায় নগর বিএনপি ব্যানারে পৃথকভাবে শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন মহানগর বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক আফরোজা খানম নাসরিন। তার নেতৃত্বে বিপুলসংখ্যাক কর্মী শোভাযাত্রা করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যান। এ ঘটনায় নগর বিএনপিতে আধিপত্ত নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে।
অন্যদিকে গত বৃহস্পতিবার নগরীর জিলা স্কুল মাঠে কেন্দ্র ঘোষিত বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। দলের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মহসিন মন্টু মহানগরের ব্যানার নিয়ে শোডাউন করে সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন। ওই সমাবেশে চরম বিশৃঙ্খলায় সমাবেশস্থল নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যায় সরোয়ার অনুসারীদের। চলে চেয়ার ছোড়াছুড়িও।
অ্যাডভোকেট মহসিন মন্টু বর্তমানে দুর্নীতির দায়ে দ-িত কারান্তরীণ সাবেক সিটি মেয়র আহসান হাবিব কামালের ঘনিষ্টজন হিসেবে পরিচিত। অন্যদিকে চারদলীয় জোট শাসনমলে (২০০১-২০০৬) বিএম কলেজের ছাত্রদল নেত্রী আফরোজা খানম নাসরিন ১ বছর আগেও সরোয়ারের আস্থাভাজন হিসেবে ছিলেন। নাসরিন বরিশাল ছাত্রদলের আন্দোলন সংগ্রামে আলোচিত নেত্রী।