পাবনা জেনারেল হাসপাতালে আনসার ক্যাম্পে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স চালকদের বিরুদ্ধে। তাদের সঙ্গে বহিরাগত দালালরাও ছিলেন বলেও জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দফায় দফায় হামলা চালানো হয়। এ সময় আনসার সদস্যদের সঙ্গে বহিরাগতদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
হাসপাতালে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদের অভিযোগ, ক্যাম্পে ও হাসপাতাল চত্বরের বিভিন্ন জায়গায় দফায় দফায় প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্সের চালকরা হামলা চালিয়েছে। কয়েক ঘণ্টা ধরে তাদের তাণ্ডবে পুরো হাসপাতাল এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার পর থেকে হাসপাতালের রোগী, তাদের স্বজনসহ আনসার সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
আনসার সদস্যরা জানান, বুধবার(৩১ মার্চ) রাতে হাসপাতালের মধ্যে বহিরাগত অ্যাম্বুলেন্স চালক ও দালালরা হাসপাতালের ভেতরেই রোগী এবং তাদের স্বজনদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। আনসার সদস্যরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বহিরাগতদের বের করে দেয়ার চেষ্টা করলে দালালরা তাদের ওপর চড়াও হয়। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বহিরাগতরা জোট বেঁধে আনসার ক্যাম্পসহ হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালায় এবং ব্যাপক ভাঙচুর করে। আনসার ক্যাম্পের ভেতরে ঢুকে হামলা চালিয়ে টেলিভিশনসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। দুপুর ২টা পর্যন্ত বহিরাগতদের এই তাণ্ডব চলে। আনসার সদস্যরা ঠেকানোর চেষ্টা করলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পরে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বৈঠক করে বহিরাগতদের সব অ্যাম্বুলেন্স হাসপাতাল থেকে বের করে দিলে চালক ও দালালরা হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল করে।
এ বিষয়ে আনসারের প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) আলমগীর হোসেন বলেন, ‘বহিরাগত দালালরা প্রতিনিয়ত রোগী এবং রোগীর স্বজনদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে থাকে। রোগী নিয়ে টানাটানি করে। যখন-তখন হাসপাতালের ভেতর তারা জোর করে ঢুকতে চায়। বাধা দিলে নিরাপত্তা কর্মীদের উপর হামলা চালায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আনসার ক্যাম্পে অস্ত্র ও গোলাবারুদ রয়েছে। সেখানে হামলা করাটা দুঃখজনক। তারপরও আমরা হার্ডলাইনে যাইনি।’
বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় পাবনা থানায় মামলার প্রস্ততি চলছে।
হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মো: আইয়ুব হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বহিরাগত সব অ্যাম্বুলেন্স হাসপাতাল চত্বর থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। শান্তিপূর্ণ অবস্থা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। এজন্য সব মহলের সহযোগিতা দরকার।