মোঃ আসাদুজ্জামান।।
বাংলা সাহিত্যের অকুন্ঠ বহুমাত্রিক লেখক. কবি . ও সাংবাদিক নাসিম আনোয়ার সম সাময়িক কালে লেখনিতে জ্যান্ত জানোয়ারকেও হার মানিয়েছেন। জাগ্রত বাঘের চেয়ে আহত বাঘ অনেক বেশী ভয়ংকর।
নাসিম আনোয়ারের লেখনি আমার কাছে এমনটাই মনে হয়েছে।
বস্তুনিষ্ঠ লেখনিতে বড় হোমরা চোমড়া ও অর্থ লোভী সহকর্মীদেরকেও বিষিয়ে তুলেছিলেন তিনি । প্রায় ৩ যুগ ঢাকায় ইত্তেফাকসহ দেশের শীর্ষ পত্রিকায় স্বাধীনতার স্বপক্ষের লেখক হিসাবে তৎকালীন সময়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর পরিবার ও ঘনিষ্ট সৎ রাজনীতিকদের সু দৃস্টি কেড়েছিলেন।
পরবর্তিতে রাজনীতির পটপরিবর্তনে তার বস্তুনিষ্ঠ লেখনি অনেকের চোখের বিষে পরিনত হওয়ায় চাকরী হারানোসহ পিছু হটতে হয়েছিলো তাকে । কিন্তু কলম চালিয়ে কবিতা . সাহিত্য ও বই লেখায় নিজেকে আত্ন নিয়োগে রাখেন। অল্প সময়ে লেখনির সুনাম দেশ বিদেশে ছড়িয়ে পরলে তিনি হয়ে গেলেন খ্যাতিমান লেখক।
রাখে আল্লা মারে কে? ঢাকার ডান. বাম ও রাম ঘড়ানার সাংবাদিক ও কতিপয় রাজনীতিকদের চরম প্রতিহিংসার বিরোধীতা তাকে পাঠকের অন্তরে আরো কয়েক ধাপ এগিয়ে দিয়েছে। হিংস্র জানোয়ার যেমন নির্ভয়ে চলে. তেমনি তিনি লিখে চলেছেন অবিরাম। সাংবাদিক আমলা ও রাজীতিকসহ অনিয়মকারী কাউকেই সাট দেননি।
সাবেক মন্ত্রী আমীর হোসেন আমু. ঢাকার সাবেক মেয়র সাইদ খোকন. ব্যারিস্টার ফজলে নুর তাপস ও ব্রিগিডিয়ার জিয়াউল হক সহ অনেক অসীম ক্ষমতাধরদের ছবি সহ সংবাদ প্রকাশ করে সারা দেশে ব্যাপক আলোচিত সমালোচিত হয়েছেন তিনি।
এদের যে কোন একজনে সামান্য চোখ বাকা করলেই নাছিম আনোয়ার ছবি হয়ে যেত। কিন্তু তেমন কিছুই ঘটেনি। কারন বস্তুনিস্ঠ লেখনিকে আজো মানুষ স্যালুট করে। দালালী করলে কারী কারী পয়সা কামানো যায়। সমাজ ধংশ হয়ে যায় । বস্তু নিস্ঠ লেখকরা বঞ্চিত লাঞ্চিত হলেও তারাই সামাজ ও রাস্ট্রের প্রান। এটার মুল্যায়ন এখন ক জনে করে। ভালো লোক ও ভালো লেখকের মুল্য নাই। তারা তোষামত কারীদের কাছে সব সময় পরাজীত হয়ে যায় । নাসিম ভাই আপনি প্রায় পঞ্চাশোর্ধো হয়েছেন। আর কত ?
সূত্র>সাংবাদিক আসাদুজ্জামান এর ফেইসবুক থেকে কপি করা হয়েছে।