নিজস্ব প্রতিবেদক:: বরিশাল নগরীর রুপাতলিতে চাঁদাবাজি বন্ধের প্রতিবাদ করায় শ্রমিকদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। গত ৩০ শে আগস্ট শুক্রবার রাত আনুমানিক ১০টার দিকে রুপাতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় ২৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক রাজিব মোল্লা শতাধিক মাহিন্দ্রা শ্রমিকদের নিয়ে বাস শ্রমিক ইউনিয়ন’সহ সকল চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে অবস্থান নেন এবং প্রচারণা চালান। মাহিন্দ্রা শ্রমিকদের উপরে অন্যায়ভাবে জোর করে চাঁদা দাবি করলে তারা রাজিব মোল্লার স্বর্ণপর্ণ হয়ে তাকে নিয়ে চাঁদা বন্ধে রাস্তায় নামেন। রূপতলী বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি নাসির উদ্দীনকে কিছুদিন আগে জিম্মি করে অবৈধ কাগজপত্র তৈরি করে সাধারণ সম্পাদক দাবি করে আসছিলে কালাম ওরফে (নাতী কালাম)। স্থানীয় শ্রমিক সংশ্লিষ্ট এক সূত্র আরো জানান,নাতি কালাম নিজেই জানতেন যে এই কাগজপত্র জোর করে তৈরি করা হয়েছে এর বৈধতা নেই বিধায় তিনি রাজ্জাক মৃধাসহ তার বহু বহিরাগত লোককে সাধারণ শ্রমিক সাজিয়ে সর্বসময়ই দিনরাত টার্মিনাল এলাকায় মহড়ার পাশাপাশি লাঠি ছোটা নিয়ে প্রস্তুত রাখছিলেন। পাশাপাশি কিছু সংখ্যক সহজ সরল শ্রমিকদের ভুল বুঝিয়ে অর্থের লোভ দেখিয়ে তাদের দল ভারি করে প্রকৃত শ্রমিকদের উপরে এই নেক্কার জনক হামলা চালায়। হামলাকারীদের মধ্যে নেতৃত্বে থাকা বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দাবী কারী নাতী কালাম বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ জিয়াউদ্দীন শিকদারের অনুসারী বলে জানা যায়। এই হামলায় আহত হয়ে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। এদের মধ্যে দুই একজনের অবস্থা অসংখ্য জনক। আহতরা হলেন নলছিটি উপজেলার ভৈরবপাশা গ্রামের বাসিন্দা শরিফ (২৯),নলছিটির খাওক্ষীর গ্রামের কবির (৪২),নেছারাবাদের রাজু (৩০),বিনাইকাঠী গ্রামের বাসিন্দা মহেন্দ্র শ্রমিক জাকির (৩৫), কাঠালিয়ার সাগর (২৭), ঝালকাঠির রামচন্দ্রপুরের বাসিন্দা কামাল (৪২), নলছিটির আবুল হাওলাদার’সহ আরো ৪-৫ জন। হামলার ঘটনার সময় হামলাকারীরা ছয়টি মাহিন্দ্রা ও সিএনজি ভাঙচুর করেন বলেও যানা গেছে । এ বিষয়ে বরিশাল কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এখনো থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বরিশাল