Logo
ই-পেপার
সর্বশেষ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি আন্তর্জাতিক সারাদেশ খেলা বিনোদন চাকরি
অর্থনীতি
আসছে নতুন তদারকি ব্যবস্থা ‘আরবিএস’
রাজনৈতিক গুণগত পরিবর্তন ছাড়া ব্যাংক সংস্কার সম্ভব নয় – গভর্নর
Icon যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৫, ১১:৫৮ পিএম
facebook sharing buttonmessenger sharing buttontwitter sharing buttonwhatsapp sharing buttonprint sharing buttoncopy sharing button
রাজনৈতিক গুণগত পরিবর্তন ছাড়া ব্যাংক সংস্কার সম্ভব নয় – গভর্ন
আহসান এইচ মনসুর/ফাইল ছবি
ফলো করুন
যুগান্তর হোয়াটসঅ্যাপ
যুগান্তর মেসেঞ্জার
Advertisement
হাইলাইটস
ছয়টি ব্যাংকই ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত, তাই মার্জের সিদ্ধান্ত
কেন বন্ধ করা হবে না – জানাতে কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে চিঠি
সব আমানতকারী অর্থ ফেরত পাবে, একটু সময় লাগবে
মূল্যস্ফীতি আরও কমবে
ব্যাংক খাতের তদারকিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে চালু হচ্ছে ঝুঁকিভিত্তিক তদারকি ব্যবস্থা (রিস্ক বেইজড সুপারভিশন – আরবিএস)। এতে তদারকি হবে আরও আধুনিক, কার্যকর ও তথ্যভিত্তিক। তবে রাজনৈতিক গুণগত পরিবর্তন, হস্তক্ষেপ বন্ধ না হলে কোনো নীতিমালাই কাজে আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সোমবার বিকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর এসব কথা বলেন।
গভর্নর বলেন, ইতিমধ্যে ২০টি ব্যাংকের সঙ্গে পাইলট কার্যক্রম শেষ হয়েছে। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ৬১টি ব্যাংকের রিস্ক বেইজড সুপারভিশন চালু হবে। ১২ ভাগে বিভক্ত ১২টি কমিটি গঠন করা হবে, যারা ব্যাংকের সবদিক থেকে অর্থাৎ ৩৬০ ডিগ্রি সুপারভিশন করবে। আমরা একটি শক্তিশালী ব্যাংক খাত গঠনের চেষ্টা করছি, তবে সেজন্য রাজনৈতিক গুণগত পরিবর্তন খুবই প্রয়োজন। আমাদের প্রত্যাশা থাকবে, যাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাজে হস্তক্ষেপ না করা হয়। সংস্থাটিকে নিজের মতো চলতে দেওয়া হয়।
ইসলামী ধারার দুর্বল কয়েকটি ব্যাংক একীভূত করার বিষয়ে গভর্নর বলেন, আমরা ছয়টি ব্যাংকের সঙ্গেই আলাদা আলাদা আবারও বৈঠক করব। যদি তারা সঙ্গত কারণ দেখাতে পারে, তাহলে মার্জ বা একীভূত হবে না। আমাদের জানা মতে, ছয়টি ব্যাংকই ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। সেজন্য তাদের মার্জের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দুর্দশাগ্রস্ত ব্যাংকের বোর্ড পুনর্গঠন সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, বোর্ড পুনর্গঠনের পর কিছু ব্যাংক খুবই ভালো করছে। তবে যারা পারফরম্যান্স দেখাতে পারছে না, প্রয়োজনে এসব ব্যাংকের বোর্ড আবার পুনর্গঠন করা হবে। ইতিমধ্যে আমরা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিঠি দিয়েছি কেন তাদেরকে বন্ধ করা হবে না তার উত্তর দেওয়ার জন্য। তারা যদি যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারে এবং সরকার সম্মত হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কোনো কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে না বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে আমার ধারণা, কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে হবে।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে গভর্নর জানান, শুধু ডলারভিত্তিক রিজার্ভ ব্যবস্থা থেকে পরিবর্তন এনে পণ্য মুদ্রা বা অন্য সম্পদ সঞ্চয় করা যায় কিনা সে বিষয়ে ভাবছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
দুর্বল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সব আমানতকারী তাদের টাকা ফেরত পাবেন – এ কথা জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, এক মাস হোক বা ছয় মাস, বা এক বছর – সময় যতই লাগুক না কেন, সবাই তাদের জমা টাকা ফিরে পাবেন।
তিনি আরও বলেন, ক্ষুদ্র আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে ব্যাংকগুলোকে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। অনেক গ্রাহক এরই মধ্যে টাকা পেয়েছেন, বাকিরাও পাবেন, তবে একটু সময় লাগতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, ইতোমধ্যে কিছু ব্যাংকে পরীক্ষামূলকভাবে এই তদারকি কাঠামো চালু করা হয়েছে। তাতে ইতিবাচক ফল আসায় আগামী জুলাই থেকে ধাপে ধাপে দেশের সব তফসিলি ব্যাংকে এর বাস্তবায়ন শুরু হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, ঝুঁকিনির্ভর তদারকি কাঠামোর আওতায় প্রতিটি ব্যাংকের আর্থিক, বাজার, পরিচালনাগত, আইনগত ও কৌশলগত ঝুঁকি চিহ্নিত করা হবে আরও নিখুঁতভাবে। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। এতে করে প্রতিটি ব্যাংকের কার্যক্রম আলাদাভাবে মূল্যায়ন করা এবং ঝুঁকিপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোতে দ্রুত হস্তক্ষেপ করা সম্ভব হবে।
তথ্যভিত্তিক তদারকি নিশ্চিত করতে তৈরি করা হচ্ছে নতুন তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ পদ্ধতি। একটি কেন্দ্রীয় তদারকি তথ্য প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা হচ্ছে, যাতে সহজেই যেকোনো ব্যাংকের ঝুঁকি চিত্র বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। একইসঙ্গে আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা আরও সুসংহত হবে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ভিত্তি আরও মজবুত হবে।
জাতীয়