ভোলার চরফ্যাশনে শ্বশুরবাড়িতে স্বামীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীসহ শ্বশুর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। শনিবার স্বামী আনোয়ার হোসেন ঢালীকে শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতনের পর আটকে রাখে। সোমবার বিকাল ৪টায় খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
শনিবার আমিনাবাদ ইউনিয়নের কুলছুমবাগ গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে বেঁধে মারধর ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। যুবক আনোয়ারের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পরলে গা-ঢাকা দেন স্ত্রীসহ তার পরিবারের সদস্যরা।
মৃত আনোয়ার হোসেন চরমাদ্রাজ ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মো. হাদর আলী ঢালীর ছেলে।
মৃতের বড় ভাইয়ের স্ত্রী মাজেদা বেগম জানান, মাছের ব্যবসায় নিয়োজিত ছিল দেবর আনোয়ার হোসেন। সম্প্রতি ব্যবসায় লোকসান হওয়ায় তার স্ত্রী রিপা বেগম তাকে ফেলে বাবার বাড়ি কুলছুমবাগে চলে যায়। কিছুদিন পরে রিপা ফুসলিয়ে আনোয়ারকে তার বাড়িতে নিয়ে রাখেন। পরে রিপা বেগম তার বাবার বাড়িতে কর্মহীন স্বামীকে ফেলে রেখে গোপনে গ্রাম ছেড়ে শহরে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করেন। বিষয়টি টের পেয়ে স্ত্রীকে বেতুয়া লঞ্চ থেকে জোর করে নামিয়ে নিয়ে আসেন আনোয়ার। এতে ক্ষিপ্ত রিপা প্রায়ই তার দেবরকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মারধর করতেন। মারধরের বিষয়টি দেবর তাকে একাধিকবার ফোনে জানিয়েছেন। গত শনিবার রিপা তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আনোয়ারকে বেঁধে মারধর করে বাড়িতে আটকে রাখেন।
মৃত আনোয়ারের বোন স্বপ্না বেগম জানান, তিনি বরিশালে শ্বশুরবাড়িতে ছিলেন। আনোয়ারকে মারধর করে আটকে রাখার খবর পেয়ে অপর ভাই মনির হোসেনকে নিয়ে ওই বাড়িতে যান। ভাইকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চরফ্যাশন হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
স্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের মারধরেই আনোয়ারের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেন পরিবারের সদস্যরা।
চরফ্যাশন থানার ওসি মোহা. মোরাদ হোসেন জানান, হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
বরিশাল বিভাগ