নিজস্ব প্রতিবেদক।। পপুলার ডায়াগনষ্টিক সেন্টার বরিশাল শাখার বিরুদ্ধে টেষ্টে অতিরিক্ত অর্থ আদায় ও মুল্য তালিকায় টেস্টের নাম না রাখার অভিযোগ উঠেছে। এরকম একটি অভিযোগ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ে দিয়েছেন প্রতারনার শিকার এক ভুক্তভুগি।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি আরিফুর রহমান নামের এক ব্যক্তি নগরীর বাংলাবাজার এলাকায় পপুলার ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের বরিশাল শাখা থেকে রক্তের এপিটিটি টেষ্ট করান। সেখানে টেষ্টের মুল্য বাবদ তাকে ১২’শ টাকার একটি রশিদ প্রদান করা হয়। তবে এর কিছুদিন পর একই টেষ্টটি আবার নগরীর সদর রোডস্থ ল্যাব এইড ডায়াগনষ্টিক সেন্টার বরিশাল শাখায় করানো হয়। সেখান থেকে টেষ্টের মুল্য বাবদ ৭’শ টাকার রশিদ প্রদান করা হয়। একই টেষ্টে ল্যাব এইডের চেয়ে পপুলার ডায়াগনষ্টিকে ৫’শ টাকা বেশি হওয়ায় চক্ষু চরগগাছ হয় তার। ওই ব্যক্তি ছুটে যান পপুলার ডায়াগনস্টিকের রিসিভসনে। সেখানে কর্তব্যরতরা তাকে টেষ্টের মুল্য ঠিক রেখেছেন বলে দাবী করেন। তবে ল্যাব এইডের চেয়ে বেশী কেন জানতে চাইলে তার কোন জবাব দিতে রাজি হননি তারা। এরপর প্রতিষ্ঠানের মুল্য তালিকায় টেষ্টটির দাম যাচাই করতে গেলে ঘটে আসল বিপত্তি।
পপুলার ডায়াগনষ্টিকে টানানো মুল্য তালিকায় এপিটিটি টেষ্টটির নামই উল্লেখ নেই। এ বিষয় জানতে চাইলে কর্তব্যরত ব্যক্তিরা জানান, সকল টেষ্টের নাম মুল্য তালিকায় লেখা সম্ভব নয়। ভুক্তভুগি ওই সেবাগ্রহীতা জানান, মূল্য তালিকায় টেষ্টের নাম না থাকলে অন্য প্রতিষ্ঠানের সাথে যাচাই করে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা থাকেনা গ্রাহকের। বিষয়টি একটি প্রতারনা দাবী করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন দপ্তরের বরিশাল উপ-পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ওই ভুক্তভুগি।
বিষয়টি আমলে নিয়ে ২৭ জুলাই শুনানির ব্যবস্থা করলেও বিচারিক কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারেনি ভোক্তা অধিকার। এসময় বিভিন্ন মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এ ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীরা শংকা প্রকাশ করে বলেন বড় প্রতিষ্ঠান বিধায় বেঁচে যেতে পারে পপুলার ডায়াগনষ্টিক সেন্টার। তবে তাদেরও অভিযোগ এভাবে মুল্যতালিকায় টেষ্টের নাম গোপন রেখে অন্য প্রতিষ্ঠানের চেয়ে অতিরিক্ত লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
বরিশাল, বরিশাল বিভাগ, হোম