ঘূর্ণিঝড় মিধিলির আঘাতে সুন্দরবনের দুবলার চারটি চরে জেলেদের প্রায় ৪০ হাজার কুইন্টাল শুঁটকি মাছ নষ্ট হয়েছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে পাঁচ শতাধিক জেলেঘর, দুই শতাধিক শুঁটকি সংরক্ষণের ঘর ও শতাধিক দোকানির ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালামালেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৩০ কোটি টাকা। শুঁটকি থেকেই সরকার রাজস্ব হারিয়েছে ৮৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ আজ শনিবার সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সুন্দরবনের দুবলা শুঁটকি পল্লী টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. খলিলুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, শনিবার সকালে শুঁটকি উৎপাদনকারী মাঝের কিল্লা, আলোরকোল, নারকেলবাড়িয়া, শ্যালার চরসহ চারটি চর পরিদর্শন করেছি। এই চারটি চরের শুঁটকি পল্লীতে ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাপক ক্ষতচিহ্ন দেখা গেছে। আমরা প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছি মাচা, চাতাল ও আড়ায় থাকা ৪০ হাজার কুইন্টাল মাছ পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে। ঢেকে রাখা আংশিক শুঁকনা মাছে পানি লেগে পোকায় ধরেছে। ওই মাছ দিয়ে আর শুঁটকি হবে না। মৌসুমের প্রথম ঘূর্ণিঝড়ে মহাবিপর্যয় নেমে এসেছে শুঁটকি পল্লীতে। অপূরনীয় ক্ষতির মুখে পড়েছেন জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা। কাঁচা মাছ, শুঁটকি ও অন্যান্য মিলিয়ে ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হয়েছে ৩০ কোটি টাকার। নষ্ট হওয়া মাছ থেকে যে পরিমাণ শুঁটকি পাওয়া যেতো তাতে সুন্দরবন বিভাগের (সরকারের) রাজস্ব আয় হতো ৮৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সুন্দরবনের পূর্ব বিভাগের শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জে জীববৈচিত্র্যসহ বন বিভাগের অবকাঠামো ক্ষতি নিরূপণের কাজ এখনো শেষ হয়নি বলেও জানান এই বন কর্মকর্তা।
সারাদেশ