নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আলমগীর বলেছেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন যাতে অনুষ্ঠিত করা যায় সেজন্য আমরা ব্যালট পেপার নির্বাচনের দিন পাঠানোর ব্যবস্থা করছি। বর্তমান নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে যে কয়েকটি স্থানে ব্যালটে ভোট হয়েছে, সব জায়গায় এভাবেই নির্বাচন করেছি। কেউ বলার সুযোগ পাবে না যে, আগের রাতে ভোট হয়েছে। তবে দুর্গম এলাকাগুলোর ক্ষেত্রে আমরা রিটার্নিং অফিসারদের সঙ্গে কথা বলব।
মঙ্গলবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সন্ত্রাস করে নির্বাচন ভণ্ডুল করা যাবে না জানিয়ে তিনি বলেন, রেলে আগুন দেওয়াসহ দুই-একটি সন্ত্রাসী কাজ করে সারা দেশের নির্বাচন প্রতিহত করা যাবে না। ভোটের কাজে কয়েক লাখ লোক থাকে। সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে এত বড় একটি নির্বাচন ভণ্ডুল করা যাবে না। আর নির্বাচনে কারা এজেন্ট হবেন, সেই তালিকা প্রার্থীদের আগে থেকে দিতে হবে। কোনো এজেন্টকে বের করে দেওয়া যাবে না। এজেন্টদের সই ছাড়া কোনো ফল ঘোষণা করা যাবে না। কেন্দ্রে সব প্রার্থীর এজেন্ট যেন থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে।
মন্ত্রী ও এমপিদের প্রভাব অন্য প্রার্থীদের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে কিনা, এমন প্রশ্নে ইসি আলমগীর বলেন, পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেট আছে। তারা এসব দেখবে। মাঠ সবার জন্য সমান, আইন সবার জন্য সমান। ১৮ তারিখ থেকে উৎসব শুরু হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারে শুরু হয়ে গেছে। ভোটারদের মধ্যে আমেজ আসতে কিছুটা সময় লাগবে।
নির্বাচনের আগে বৈধ অস্ত্র জমা দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান জোরদার করা হচ্ছে। তবে নিরাপত্তার জন্য কারও অস্ত্র লাইসেন্স করা থাকলে তা নিয়ে নিলে তো তাকে নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। এখন আমরা তাকে নিরাপত্তা দেব না, নির্বাচনকে নিরাপত্তা দেব। লাইসেন্স করা অস্ত্র থাকলেও কেউ অবৈধভাবে অস্ত্র প্রদর্শন যেন করতে না পারেন সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ সময় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহমুদুল হক, জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, র্যাব-১১ এর অধিনায়ক (সিও) তানভীর মাহমুদ পাশাসহ জেলা নির্বাচন কমিশন, জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয়