সামনেই পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন। ২০২৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি। প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাঠে প্রার্থীরা নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছেন। তবে আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে এবার বেশ বিপাকে পড়েছেন কারাবন্দি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান। তোশাখানা মামলার রায় বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টে স্থগিত করা হয়। ফলে ইমরান খানের নির্বাচনি মনোনয়ন বাতিল করেছে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইমরান খানের আইনজীবী নাইম হায়দার পান্থুজা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘ইমরান খানের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে তোশাখানা ফৌজদারি মামলার সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয় যাতে করে তার অযোগ্যতা বজায় থাকে।’ এমন পরিস্থিতিতে আদালতেই এখন ঝুলছে ইমরান খানের নির্বাচনি ভাগ্য। এএফপি।
মঙ্গলবার পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) ঘোষণা করেছিল, জেলবন্দি ও নির্বাচন কমিশনে অযোগ্য ঘোষিত ইমরান খান কমপক্ষে তিনটি সংসদীয় আসনে প্রতিদ্বনদ্বিতা করবেন। রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলের বাইরে পিটিআই-এর বর্তমান চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গওহর আলি খান বলেছেন, লাহোর, ইসলামাবাদ ও মিয়ানওয়ালি আসন থেকে নির্বাচন করবেন ইমরান খান।
এদিকে আজই মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেন পাকিস্তানের আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। পাকিস্তানের পরবর্তী নির্বাচনে তিনি দেশটির সংসদীয় আসন-১৫ মানসেহরা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। যদিও পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন ইসিপিতে তার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কথা ছিল বৃহস্পতিবার। বুধবার এ তথ্য জানিয়েছিলেন নওয়াজ শরিফের মেয়ে মরিয়ম নওয়াজের স্বামী সফদার।
পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএলএন) নেতা দেশে ফেরার পর নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধে অ্যাভেনফিল্ড এবং আল আজিজিয়া রেফারেন্সে যে শাস্তি ও জরিমানা করা হয়েছিল, তা থেকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। ওদিকে পানামা পেপারস মামলায় পাকিস্তানের সুপ্রিমকোর্ট সরকারি পদে যাবজ্জীবনের জন্য নওয়াজ শরিফকে অযোগ্য ঘোষণা করেন। যদি তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান, প্রধানমন্ত্রী হতে চান, তবে সেই অযোগ্য ঘোষণাকে অবৈধ ঘোষণা করাতে হবে অথবা সেই মামলা থেকে তাকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করতে হবে। এএফপি।
আন্তর্জাতিক