নিজস্ব প্রতিবেদক: পটুয়াখালীর দশমিনায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ২৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ২০০ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।
সরকারি কাজে বাধা দেওয়া, পুলিশের ওপর হামলা ও দোকানপাট এবং মোটরসাইকেল ভাঙচুরের অভিযোগে দশমিনা থানায় শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে উপ-পরিদর্শক (এসআই) মেহেদী বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, গতকাল শুক্রবার দুপুরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের নামে দলটির নেতাকর্মীরা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। এতে তীব্র যানজট হলে পুলিশ তাদের চলে যেতে বললে বাক-বিতণ্ডার শুরু হয়। পরে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হন।
সে সময় পুলিশের মোটরসাইকেলসহ মোট চারটি মোটরসাইকেল ও একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করে তারা। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ে করে ও তিন জনকে গ্রেপ্তার করে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে জন্য অভিযান চলমান।
এ বিষয়ে দশমিনা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহআলম শানু বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কর্মসূচি পালন করতে শহরের খানকার মাঠ এলাকা থেকে মিছিল বের হয়। মিছিলটি দশমিনা আদালতের সামনে পৌঁছালে এসআই মেহেদীর নেতৃত্বে পুলিশ বাধা দেয়।
হাজার হাজার বিএনপির নেতাকর্মীরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে যায়। পরে কোন ঝামেলা ছাড়াই বাধা অতিক্রম করে আমাদের মিছিলটি সামনে এগিয়ে যায়। পরে মিছিলটি পূজাখোলা এলাকায় পৌঁছালে পিছনের দিক থেকে এসে মিছিলের উপরে হামলা চালায় পুলিশ।
আমি নেতাকর্মীদের শান্ত করেছি তবে পুলিশের বেপরোয়া মারধরে বিএনপির অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। পরে বিএনপির নেতাকর্মীরাও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। তিনি আরও বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশের হামলায় আহত হয়েছে তাতী দলের ইব্রাহিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সায়াদ রনি, আবদুর রহিম, আক্কাস, আবু তাহের, সুজন ও শান্তসহ অন্তত ১০জন। আহতদের পটুয়াখালী ও বরিশাল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আমরা এ হামলায় ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
পটুয়াখালী, বরিশাল বিভাগ