বরিশাল নগরীর কাশিপুরস্থ দারসুল কুরআন একাডেমীর পরিচালক মুবিনুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে নগরীর কাটপট্টির রাজিব ম্যানশনের বাসিন্দা সোনিয়া আক্তার বিথী কর্তৃক দায়েরকৃত একাধিক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে গতকাল মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। গতকাল বিকাল সাড়ে ৪টায় নগরীর কাশিপুরস্থ বাজার সংলগ্ন এলাকায় দারসুল কুরআন একাডেমীর শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও স্থানীয়রা শতশত মুসল্লীগণ এ মানবন্ধন কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া বক্তারা বলেন, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন হাফেজ মুবিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিতর্কিত নারী বিথী কর্তৃক দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান। একই সাথে ঐ নারীর বিচার দাবী করছি। মানববন্ধনে ভুক্তভোগী দারসুল কুরআন একাডেমীর পরিচালক মুবিনুল ইসলাম বলেন, আমি বিগত ২০১১ সালে কাতারের রাজধানী দোহায় আলজাজিরা টেলিভিশন ভিত্তিক বিশ্বব্যাপি কুরআন তেলোয়াত প্রতিযোগীতার আয়োজন করলে সেখানে বিশ্বের ৭২টি দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করি। আমার এই কুরআন প্রতিযোগীতার সাফল্যে ও জেনারেল শিক্ষাগত যোগ্যতার কারনে আমি আমেরিকার আলাবামা সিটিতে প্রতিষ্ঠিত ‘‘হান্টসভিল আন্তর্জাতিক কুরআন একাডেমী (ঐওছগঅ)’’ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হিসাবে আমি নিয়োগ পাই এবং সেই সাথে সেখানে স্থায়ীভাবে থাকার সুযোগ সুবিধা পাই।
আমি আমেরিকাতে না গিয়ে সেই কারিকুলামে বরিশাল এয়ারপোর্ট থানাধীন কাশিপুরে একটি উন্নতমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করি এবং অতি সুনামের সাথে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করে আসছি। আমার প্রতিষ্ঠানের সাফল্যে ও আমার পূর্বের প্রতিভা দেখে কিছু কু-চক্রী মহল আমার পেছনে চরিত্রহীনা নারী সোনিয়া আক্তার বিথীকে লেলিয়ে দেয়। যিনি একাধিক পর্ণগ্রাফী আইন চাঁদাবাজি মামলার আসামি। যার মামলা নং-৫৬/২২ মিরপুর মডেল থানা। বিথীর কাজ সমাজের বিত্তবান এবং নামিদামি ব্যক্তিদের ব্লাকমেইল করে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করা। যার মামলা নং-৭০/২২ নারী ও শিশু পিটিশন অষ্টম আদালত ঢাকা। তার এহেন কর্মকান্ডের জন্য একাধিকবার হাজতবাস করেন বিথী।
অনুরুপ ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির ভাইস চেয়ারম্যান মহোদয়ের সাথেও এহেন কাজ করেছেন বিথী। বিগত ৭ সেপ্টেম্বর বিথী আমার নামে মিথ্যা নারী নির্যাতন মামলা করে। উক্ত মামলা নং-জিআর ২৭/২৪। মামলার বিষয় এয়ারপোর্ট থানা যাচাই-বাছাই না করে চরিত্রহীনা বিথীর খপ্পরে পরে স্বার্থের বিনিময়ে আমাকে অভিযুক্ত করে গ্রেফতার করে। মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে চরিত্রহীনা নারীর নিকট থেকে মোট অংকের ঘুষের বিনিময়ে আমাকে দিয়ে বিজ্ঞ আদালতে ১৪৪ ধারায় জবান বন্দি দিয়ে আমাকে এই মামলাম ফাঁসিয়ে দেন। বিগত ২৭-০১-২০২৪ইং তারিখ আমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিথীর কথিত বয়ফ্রেন্ড মেহেদী হাসান রুবেল, বিথীর বড় ভাই রেজাউল করিম রাজিব ও তার ভাবির নেতৃত্বে আমার প্রতিষ্ঠান এর অফিস কক্ষ ভাংচুর করে এবং জোরকরে তিনটি একাউন্ট এর চেক বই, নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ও নগদ ৭,০০,০০০/- লক্ষ টাকার অধিক ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং আমার ব্যবহারের মালামাল ভাংচুর ও লুটতরাজ করেন। যার মামলা নং-সিআর-১০০/২৪।
সেই চুরি করা চেক দিয়ে সোনিয়া আক্তার সহ আসামিদের যোগসাজসে আমার নামে আরো পাঁচটি ১ কোটি ৬০ লাখ টাকার মামলা করেন। যার মামলা নং-১০৪৯-১০৫৩। এই মামলায় বিজ্ঞ আদালত আমাকে জামিন মঞ্জুর করেন। বিগত ৩০-০৮-২০২৪ইং তারিখ শুক্রবার আমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সোনিয়া আক্তার বিথী তার আপন বড় বোন নিগার সুলতানা(৪২) ও ভগ্নিপতি আমাকে অবগত করে আমরা শুক্রবার জুমার নামাজের পরে তোমার প্রতিষ্ঠানে আসব। সোনিয়ার মামলার বিষয়ে আলোচনা করতে। তারই ধারাবাহিকতায় দুপুর ২.৩০ মিনিটের সময় আসেন। আমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুইজন শিক্ষক একজন ভাতিজা এবং দুইজন অভিভাবকদের উপস্থিতিতে আমার দায়েরকৃত মামলা কিভাবে নিস্পত্তি করে উভয় পক্ষ পুনরায় স্বাভাবিক পরিবেশে ফিরে আসতে পারে।
সরাসরি নগদ টাকা অথবা বৈধতা আমেরিকার সিটিজেনশিপ এর ব্যবস্থা করে দেওয়ার প্রস্তাব দিলে আমি অস্বীকৃতি জানাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে সোনিয়ার বড় দুলাভাই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কাউকে জানালে মুহুর্তের মধ্যে একাধিক মামলার আসামী ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসান রুবেল, রাসেল ও ফয়সাল আক্তার বিথী সহ অজ্ঞাত আরো ছয়/সাতজন আমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালাইয়া আমাকে শারিরীক ভাবে লাঞ্ছিত করে ছাত্রদের জিনিসপত্র ভাংচুর করে এবং আমার ব্যবহারের মালামাল ভাংচুর ও লুটতরাজ করেন। যার মামলা নং-সি আর ১০০/২৪। বিথীর এহেন অপকর্মের বিরুদ্ধে এবং মুবিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানিয়ে গতকাল মানববন্ধন পালন করা হয়। বিথীর হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা দারসুল কুরআন একাডেমীর পরিচালক করছেন ভুক্তভোগী মুবিনুল ইসলাম করছেন।
বরিশাল, বরিশাল বিভাগ