দুর্গাপূজা উপলক্ষে দ্বিতীয় দফায় বরিশাল নগরীর পোর্ট রোডের ইলিশ মোকাম থেকে শুক্রবার দিবাগত রাতে ভারতে পাঠানো হয়েছে ১০ টন ইলিশ। এরমধ্যে জেলা মৎস্য আড়ৎদার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নিরব হোসেন টুটুলের দুটি প্রতিষ্ঠান মের্সসা মাহিমা ও তানিশা এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে আট টন এবং ঢাকার জে.জে এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে দুই টন ইলিশ পাঠিয়েছেন পোর্ট রোড মোকামের ব্যবসায়ী মোঃ হাবিব খান। জানা গেছে, দ্বিতীয় চালানে রপ্তানি করা ইলিশের দাম স্থানীয় বাজারের চেয়ে কম।
ভারতে রপ্তানি করা ছয় থেকে নয়শ’ গ্রাম সাইজের ইলিশ নগরীর পোর্ট রোড বাজারে ৫৮ হাজার টাকা প্রতিমণ বিক্রি হয়েছে। সে হিসেবে প্রতিকেজি ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৪৫০ টাকা। আর ভারতে পাঠানো ইলিশের প্রতি কেজির দাম পরেছে ১০ ডলার হিসেবে ১১শ’ টাকা।
শনিবার সকালে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মের্সাস তানিশা ও মাহিমা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী নিরব হোসেন টুটুল বলেন, গত কয়েকদিনের বৈরী আবহাওয়ার কারণে নদীতে ইলিশ নেই। সাগরেও ট্রলার যেতে পারছে না। তাই পোর্ট রোডে ইলিশের সংকট রয়েছে। যেকারণে ভারতে রপ্তানির জন্য ইলিশ কিনতে তাদের ঝামেলায় পরতে হচ্ছে। তিনি আরও জানান, সংকট থাকায় দ্বিতীয় দফায় শুক্রবার দিবাগত রাতে আট টন ইলিশ ট্রাক ভর্তি করে ভারতে পাঠানো হয়েছে। শনিবার সকালে বেনাপোলের সীমান্ত দিয়ে ট্রাক ভর্তি ইলিশ ভারতে পৌঁছেছে।
নগরীর পোর্ট রোডের ব্যবসায়ী মোঃ হাবিব খান বলেন, ঢাকার জে.জে এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে পোর্ট রোড থেকে দুই টন ইলিশ শুক্রবার রাতে ভারতে পাঠানো হয়েছে।
পোর্ট রোডের ব্যবসায়ী মোঃ মামুন জানান, শনি ও শুক্রবার পোর্ট রোড বাজারে এলসি সাইজের ইলিশ ৫৮ হাজার, কেজি সাইজের ইলিশ ৬৩ হাজার, এক কেজি দুইশ’ গ্রাম সাইজের ইলিশ ৬৮ হাজার ও দেড় কেজি সাইজের ইলিশ প্রতিমণ ৭৬ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
ইলিশ সংকটের কারণে বাজারে দাম বেড়ে গেছে জানিয়ে ব্যবসায়ীরা বলেন, অতীতে ইলিশের ভরা মৌসুমে মোকামে প্রতিদিন কোটি টাকার ইলিশ কেনাবেচা হতো। সেখানে এখন ৪০ থেকে ৫০ লাখ টাকার ইলিশ বিক্রি হচ্ছে।
বরিশাল