ভোলার দৌলতখানে পারভিন বেগম নামে এক ঘুমন্ত গৃহবধূকে এসিড নিক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে ওই গ্রামের পাঠান বাড়িতে নিজ স্বামীর বসতঘরে এ ঘটনা ঘটে।
পারভিন বেগম (৩৮) ভোলার দৌলতখান উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের পশ্চিম দিদারুলা গ্রামের মো. আব্দুল কামালের স্ত্রী। প্রায় ২৩ বছর আগে ওই গৃহবধূর বিয়ে হয়। বর্তমানে তিনি দুই মেয়ে ও এক ছেলে সন্তানের জননী। তার স্বামী চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি ব্যাংকের নিরাপত্তা কর্মীর কাজ করেন।
গৃহবধূর অভিযোগ, তার স্বামীর ৮ মাস বয়সে শ্বশুর মারা গেছেন। শাশুড়ি বাড়ির পাশে আব্দুল খালেক নামে আরেকজনকে বিয়ে করেন। দীর্ঘ দিন ধরে স্বামী, শাশুড়ি ও শ্বশুরের সঙ্গে ভালোভাবেই সংসার চলে আসছিল। প্রায় ৮ বছর আগে তার ননদ ফরিদা বেগম সন্তান নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসেন। এরপর বিভিন্ন কারণে ননদের সাথে ঝগড়া-ফ্যাসাদ চলে আসছিল। পরবর্তীতে প্রায় সমই ননদের পক্ষ নিয়ে শ্বশুরও তার সঙ্গে ঝগড়া করতেন।
তিনি জানান, বুধবার সন্ধ্যার দিকে মোবাইল ফোনের চার্জ দেওয়া নিয়ে ফরিদা বেগম ও শ্বশুরের সঙ্গে তার প্রচণ্ড ঝগড়া হয়। এসময় তারা দুইজন এই বাড়ি থেকে তাকে তারিয়ে দিবে বলেও হুমকি দেন। পরে রাতের দিকে তিনি তার দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে এক খাটে ঘুমিয়ে পরেন। ভোরের দিকে হঠাৎ তার শরীরের ঘাড়ের নিচের অংশে জ্বলতে শুরু করে। পরে ডাক-চিৎকার করলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
তার দাবি, ননদ ফরিদা বেগম ও শ্বশুর আব্দুল খালেক তাকে এসিড নিক্ষেপ করেন।
এদিকে প্রাথমিক পর্যায়ে এটি এসিড বলে ধারণা করছেন চিকিৎসক। পরবর্তীতে আরও পরীক্ষার পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানান ভোলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. মনির হোসেন।
ভোলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রিপন চন্দ্র সরকার জানান, বিষটি শুনেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করছেন। ওই গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছেন। এছাড়াও এ ঘটনায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছেন।
সারাদেশ