ফর্মাল নিউজ ডেস্ক॥
পিরোজপুরের নেছারাবাদে নিখোঁজের তিন দিন পর ব্যবসায়িক বন্ধুর বাড়ির খড়ের গাদার নিচে মাটিচাপা অবস্থায় এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের ওই ব্যবসায়িক বন্ধু পলাতক রয়েছেন। পরে তাঁর মা, বোন ও ভাইয়ের মেয়েকে আটক করেছে পুলিশ।
এ দিকে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী অভিযুক্ত যুবকের মোটরসাইকেলটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে।
আজ শনিবার সকালে উপজেলার সমেদয়কাঠি ইউনিয়নের দক্ষিণ শেহাংগল গ্রামে অভিযুক্ত যুবকের বাড়ির গরুর খড়ের গাদার পাশে মাটিচাপা দেওয়া মরদেহ উদ্ধার হয়।
নিহতের নাম হাসানুর রহমান অপু (৩৫)। তিনি দক্ষিণ শেহাংগল গ্রামের মৃত আব্দুর জব্বারের ছেলে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত হলেন একই গ্রামের রুম্মান শেখ। একই গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে। রুম্মান ও হাসানুর রহমান অপু ব্যবসায়িক বন্ধু।
নিহতের পরিবার বলছে, হাসানুর রহমান অপু স্ত্রীসহ খুলনা শহরে বসবাস করতেন। ব্যবসার জন্য প্রায়ই তিনি গ্রামের বাড়িতেও থাকতেন। গ্রামে এসে তিনি রুম্মান শেখের সঙ্গে সুপারি ব্যবসা করতেন। বুধবার রুম্মানের সঙ্গে বাসা থেকে বের হয়ে অপু আর বাসায় ফেরেননি। পরদিন বৃহস্পতিবার তাঁর স্ত্রী খুলনা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
অপুর প্রতিবেশী আলী হোসেন নামে এক বৃদ্ধ জানান, হাসানুর রহমান অপু রুম্মানের ব্যবসায়িক বন্ধু। তাদের ভেতরে খুবই দহরম ছিল। ব্যবসার সুবাদে অপু রুম্মানের মধ্যে বেশ কিছু টাকার লেনদেনের বিষয় ছিল। গত বুধবার সকালে রুম্মানের সঙ্গে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন অপু। শনিবার সকালে স্থানীয়রা রুম্মানের বাড়ির পাশে সুপারি পাড়তে গিয়ে খড়ের গাদার পাশ থেকে পচা গন্ধ পান। এ সময় তারা বিষয়টি আরও কয়েকজনকে জানালে তারা খুঁজতে গিয়ে অপুর লাশ দেখতে পান। পরে পুলিশকে জানানো হলে তারা লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
নিহত হাসানুর রহমান অপুর চাচাতো ভাই মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘অপু তাঁর প্রতিবেশী রুম্মান শেখের সঙ্গে ব্যবসা করত। এ জন্য সে রুম্মানকে কিছুদিন আগে আট লাখ টাকা দিয়েছিল। টাকাটা আজ, কাল দেওয়ার কথা বলে রুম্মান টাকা ফেরত দেয়নি। গত বুধবার রুম্মান ভাইকে ভুল বুঝিয়ে বাসা থেকে নিয়ে যায়। তারপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল।
এ বিষয়ে নেছারাবাদ সহকারী পুলিশ সুপার সাবিহা মেহবুবা বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসছি। লাশ উদ্ধারের কাজ চলছে। হাসানুর রহমান অপুকে হত্যার অভিযোগে পলাতক রুম্মানের মা, বোন এবং ভাইয়ের মেয়েকে আটক করা হয়েছে।
বরিশাল বিভাগ, সারাদেশ