পটুয়াখালীর দশমিনায় মো. মোশাররফ হোসাইন নামে এক মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। ১৫ বার চেক জালিয়াতির পর ১৬ বারে মাদ্রাসা সভাপতির স্বাক্ষর জালিয়াতি করতে গিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে ব্যাংকের ম্যানেজারের হাতে ধরা পড়েন ওই সুপার।
মো. মোশাররফ হোসাইন উপজেলার সদর ইউনিয়নের আরজবেগী গ্রামের দক্ষিণ আরজবেগী দাখিল মাদ্রাসার সুপার।
মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন বিষয়টি থানায় জানালে পুলিশ ওই দিনই তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। পরে মাদ্রাসা সভাপতি বুধবার সকালে বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে পুলিশ ওই সুপারকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে একই দিন বিকালে জেলহাজতে পাঠান।
ব্যাংকের ম্যানেজার ইমাম হোসেন যুগান্তরকে জানান, উপজেলার দক্ষিণ আরজবেগী দাখিল মাদরাসা সুপার মো. মোশাররফ হোসাইন ৪৩ হাজার টাকা উত্তোলন করতে তার শাখায় যান। পরে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের স্বাক্ষর না মেলায় তিনি সুপারকে চাপপ্রয়োগ করলে সুপার জালিয়াতির বিষয়টি স্বীকার করেন।
মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, ২০২২ সালের ৫ মে থেকে চলতি বছরের ৪ অক্টোবর পর্যন্ত মাদ্রাসার হিসাব থেকে ১৫টি চেকের মাধ্যমে তার স্বাক্ষর জাল করে ৩ লাখ ৮২ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এসব টাকা তিনি মাদ্রাসার কোনো কাজে ব্যয় না করে আত্মসাৎ করেছেন। তার ধারণা মাদ্রাসার পৃথক হিসাব থেকেও তিনি স্বাক্ষর জাল করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
তিনি বলেন, মাদ্রাসা সুপারের নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীসহ এলাকার লোকজন বিব্রত। তিনি ইতোমধ্যে সহকর্মী শিক্ষকদের নানাভাবে হয়রানিসহ নারী কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে মাদ্রাসার সুনাম নষ্ট করেছেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সেলিম মিয়া যুগান্তরকে বলেন, চেক জালিয়াতি করতে গিয়ে মো. মোশাররফ হোসাইন গ্রেফতার হয়েছে শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বরিশাল বিভাগ