বরগুনার তালতলীতে যৌন নিপীড়ন মামলা করে বিপাকে পড়েছে স্কুলছাত্রীর পরিবার। অভিযুক্ত পনু ঘরামীর ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য জীবননাশের হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে তালতলী প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে যৌন নিপীড়নের স্বীকার স্কুলছাত্রীর পিতা এসব অভিযোগ করেন। তিনি মামলার আসামি পনু ঘরামীর সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলন সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের মেনিপাড়া এলাকায় পনু ঘরামীর মুদি দোকানে গত ৭ অক্টোবর ঝালমুড়ি ক্রয় করতে গিয়ে ৭ম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে। বিষয়টি গ্রাম্যসালিশে সমাধানের জন্য গ্রামের মাতবররা একাধিকবার বৈঠক করেন। সেখানে ৩০ হাজার টাকায় মীমাংসার প্রস্তাব দিয়ে মাতবররা সময়ক্ষেপণ করলে ১০ অক্টোবর স্কুলছাত্রীর বাবা যৌন নিপীড়নের অভিযোগে পনু ঘরামীর (৪২) বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এ মামলা থেকে বাঁচতে ও সঠিক তদন্ত কার্যক্রমকে ব্যাহত করতে গত ১১ অক্টোবর পনু ঘরামী ও তার ভাড়াটে সন্ত্রাসী শহিদুল ইসলাম বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন এনে নিজ বাড়িতে থানার ওসি, তদন্ত ওসি, এক এসআই, দুই ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানকে জড়িয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করেন।
এ ঘটনার পর রাতে স্কুলছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে ফের মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তাদের জীবননাশের হুমকি দেওয়া হয়। পরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দিলে পুলিশ যায় ঘটনাস্থলে। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, আমার মেয়ে যৌন নিপীড়নের শিকার হলে থানায় মামলা দায়ের করে বিপাকে পড়েছি। আসামিপক্ষের ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। রাতে সন্তানদের নিয়ে অন্যদের বাড়িতে থাকি। আমার পরিবারের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি করছি।
অভিযুক্ত পনু ঘরামী ও শহিদুল ইসলামের ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তারা ফোন ধরেনি।
তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম খান বলেন, ৯৯৯-এ কল পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর বাবা নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করেছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে স্কুলছাত্রীর পরিবারকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বরিশাল বিভাগ