কুয়াকাটা প্রতিনিধি ॥ বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে পরিবেশবান্ধব উপায়ে নিরাপদ শুঁটকি উৎপাদনকারী উদ্যাক্তা তৈরি ও প্রসারের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সংগ্রামের ব্যবস্থাপনায় সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রকল্পের (এসইপি) উদ্যোগে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে এসইপি ও শুঁটকি প্রকল্পের উদ্যোক্তাদের নিয়ে এসইপি-সুপণ্য মেলা-২০২৩ শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে কুয়াকাটা সৈকতে এ মেলাটি উদ্বোধন করেন।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হাওলাদার, সংগ্রামের সিনিয়র পরিচালক মো. ইউসুফ, কুয়াকাটা প্রেস ক্লাবের সভাপতি নাসির উদ্দিন বিপ্লব, টোয়াকের সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার, কুয়াকাটা শুঁটকি মার্কেটের সাধারণ সম্পাদক সোহেল মাহমুদসহ প্রমুখ।
মেলা উপলক্ষে কুয়াকাটার শতাধিক ব্যবসায়ীরা তাদের উৎপাদিত শুঁটকির পসরা সাজিয়েছেন। নানা প্রজাতির শুটকি তারা নিয়ে এসেছেন। এসব শুঁটকির মধ্যে রয়েছে লইট্টা, বোল, ইলিশ, চিংড়ি, সোনাপাতা, ছুরি, সুরমা, মলা, ফাইস্যা, বাঁশপাতা, চ্যাপা, কাচকিসহ নানা ধরনের শুঁটকি।
কুয়াকাটা শুঁটকি মার্কেটের সাধারণ সম্পাদক মো. সোহেল মাহমুদ বলেন, আমরা এ মেলাটি মূলত আয়োজন করছি আমাদের শুঁটকি কেমিক্যালমুক্ত। এটা পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতে পারব। পর্যটকরাও কম টাকায় মেলা থেকে শুঁটকি ক্রয় করতে পারবেন।
শুঁটকি ব্যবসায়ীরা বলেন, কুয়াকাটার শুঁটকি নিরাপদ ও প্রাকৃতিক উপায় তৈরি করা হয় এটা সবার মাঝে জানান দিতে এ আয়োজনটি সুন্দর হয়েছে। সারা বছর এখানকার শুঁটকির চাহিদা থাকে। এই আয়োজনের মধ্যে দিয়ে শুঁটকির গুণাবলি জানতে পারবে সবাই।
মেলায় আশা পর্যটক মো. খাইরুল ইসলাম বলেন, আমরা মেলায় থেকে কম টাকায় শুঁটকি ক্রয় করেছি। এর আগেও আমি কুয়াকাটার শুঁটকি খেয়েছি। এখানকার শুঁটকি অনেকটাই বিষমুক্ত।
এসইপির রিপোর্টিং অ্যান্ড ডকুমেন্টেশন অফিসার সজল মিত্র বলেন, প্রকল্পের উদ্যোক্তারা তাদের উৎপাদিত পণ্যের গুণাবলি ও আধুনিক পদ্ধতিতে শুঁটকটি উৎপাদন করেন সেগুলো তুলে ধরবেন পর্যটকদের কাছে।
সংগ্রামের সিনিয়র পরিচালক মো. ইউসুফ বলেন, আমরা দুই বছর ধরে বিষমুক্ত শুঁটকি উৎপাদন করার পদ্ধতি শিখানোর চেষ্টা করছি। এই মেলার মাধ্যমে বিষমুক্ত শুঁটকি লোকজন ক্রয় করতে পারবে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আয়োজনকারীদের অশেষ ধন্যবাদ। স্থানীয় পণ্যের গুণাবলি ও বিষমুক্ত শুঁটকি উৎপাদন করার ফলে মানুষের মাঝে চাহিদা বাড়ছে। এটা বজায় থাকুক। শুঁটকি যেন বিশ্বের দরবারে পৌঁছে যায়।
বরিশাল বিভাগ