রোববার থেকে ঢাকায় শুরু হচ্ছে ৩ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক ডিরেক্টরস জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ) সম্মেলন। এই সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের (আইকাও) এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সিভিল এভিয়েশন প্রধানরা।
৩৮ বছর পর ঢাকায় এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে আইকাও-এপেকের ৫৮তম এই সম্মেলন চলবে। এতে প্রায় ৪৭টি দেশ এবং ১৩টি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিসহ ৫০০ জন বিদেশি ডেলিগেট অংশ নেবেন। বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান ৫ দিনের এ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন।
এদিকে সম্মেলনে যোগ দিতে শনিবার বিকালে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের (আইকাও) কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট সালভাতোর সাকিতানো। এই সফরে তার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে।
বেবিচক জানায়, ৫ দিনের এই আসরটি বাংলাদেশ দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজন করতে যাচ্ছে। আইকাওর ত্রিবার্ষিক সাধারণ সভার পর এটিই আঞ্চলিক পর্যায়ে সবচেয়ে বড় আয়োজন। এ সম্মেলনটি ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশে প্রথম আয়োজন করা হয়েছিল।
বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দিকনির্দেশনায় ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ আইকাওর সদস্যপদ লাভ করে। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের সূচনালগ্নেই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন বিভিন্ন দেশের সঙ্গে জল, স্থল ও আকাশপথে যোগাযোগ ছাড়া সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন পূরণ হবে না। তাই তিনি বাংলাদেশকে একটি এভিয়েশন হাব হিসাবে পরিণত করার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তার দেখানো পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় দেশের প্রতিটি বিমানবন্দরে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ চলছে।
সম্মেলনে এভিয়েশন খাতে এভিয়েশন সেফটি, এয়ার নেভিগেশন, এভিয়েশন সিকিউরিটি, ফেসিলিটেশন, এয়ার ট্রান্সপোর্টগুলোর উন্নয়ন, পরিবেশ বিপর্যয় রোধ, এভিয়েশন খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও প্রায়োগিক দিক ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হবে এবং সুপারিশমালা প্রণয়ন করা হবে। সেখানে উত্থাপিত সুপারিশমালা পরবর্তী আইকাওর সাধারণ সভায় উত্থাপিত হবে।
জাতীয়