প্রথম ধাপের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবি করেছে প্রার্থীদের একটি অংশ। সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনে তারা এ দাবি জানান।
এতে দেড় শতাধিক প্রার্থী অংশ নেন। প্রথম ধাপের বরিশাল বিভাগের প্রার্থী ফাতিমা আকতার সাথীর সভাপতিত্বে ও হারুন উর রশিদের সঞ্চালনায় এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রার্থী মো. আবু সালেহ খান, আকাশ রয়, আনোয়ার খান প্রমুখ।
শিক্ষার্থীরা জানান, চলমান হরতাল-অবরোধে পরীক্ষা গ্রহণ, বৈরী আবহাওয়ার কারণে দূরপালার গাড়ি না পাওয়া, প্রবেশপত্র ডাউনলোডের এসএমএস না পাওয়া, প্রবেশপত্রের কারণে হলে প্রবেশ করতে না পারা ও পরীক্ষা শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যে প্রশ্ন বাইরে চলে যাওয়াসহ নানা ঘটনা ঘটেছে। এতে দেড় লাখেরও বেশি প্রার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি।
মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেওয়া ফাতেমা আক্তার সাথী বলেন, কয়েক দফা পিছিয়ে হরতাল-অবরোধের মধ্যে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। অথচ একই কারণে বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানো হয়েছে। সমন্বিত ৭ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষাও পেছানো হয়। আবার পরীক্ষায় প্রক্সিসহ ব্যাপক অনিয়ম-জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। এজন্য আমরা আইনগতভাবে এ পরীক্ষা বাতিলের জন্য হাইকোর্টে রিট করব।
তিনি দাবি করেন, ১ লাখ ৫৮ হাজার প্রার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি। এটা কীভাবে নিশ্চিত হলেনÑএমন প্রশ্নের জবাবে ফাতেমা আক্তার সাথী বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের কাছ থেকেই আমরা এ তথ্য জেনেছি। তবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন যুগান্তরকে বলেন, ১ লাখ ৫৮ হাজার চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি এই ধরনের অভিযোগ সত্য নয়। অনুষ্ঠিত হওয়া পরীক্ষা বাতিলের কোনো সুযোগ নেই। এই পরীক্ষার ফল যথাসময়ে প্রকাশ করা হবে।
এর আগে সকাল ১০টায় আন্দোলনকারীরা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত বরাবর পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে আবেদন করেন। আবেদনে তারা উলেখ করেছেন, বিভিন্ন কারণে ১ লাখ ৫৮ হাজার প্রার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি। এজন্য এ পরীক্ষা বাতিল করতে হবে।
৮ ডিসেম্বর (শুক্রবার) সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ১৮ জেলায় একযোগে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম ধাপের এ পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেছিলেন ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন চাকরিপ্রার্থী। এ পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে ১২৪ জনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের মধ্যে রংপুর বিভাগের ৯৬ জন ও বরিশাল বিভাগের ২৮ জন। ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে ডিজিটাল জালিয়াতির অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
জাতীয়