তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে আমাদের দেশে যে চলচ্চিত্র শিল্পের যাত্রা শুরু, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে সেই শিল্প আজ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এ চলচ্চিত্র আমাদের শিল্প-সংস্কৃতিকে বিশ্ব অঙ্গনেও এগিয়ে নেবে।
রোববার (২০ আগস্ট) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি গণভবন থেকে আগারগাঁওয়ে নবনির্মিত বিটিআরসি ভবন, তথ্য কমিশন ভবন উদ্বোধন এবং তেজগাঁওয়ে বিএফডিসি কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। বিএফডিসি প্রান্ত থেকে বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিন, চলচ্চিত্র শিল্পী-কলাকুশলী ও কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, কলকাতায় সিনেমার শিল্পের সঙ্গে যারা যুক্ত তারা আগে মনে করতেন আমরা পিছিয়ে আছি, এখন সেখানে আমাদের সিনেমা দেখার জন্য দীর্ঘ লাইন হয়। গত বছর কলকাতায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবে একটি সিনেমা দেখার জন্য সেখানে প্রায় এক কিলোমিটারের কাছাকাছি লাইন হয়েছে। এতেই প্রমাণিত হয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের সিনেমা ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনুধাবন করেছিলেন যে, বাঙালি জাতির কৃষ্টি, সংস্কৃতিকে যদি সংরক্ষণ করতে হয়, বিকশিত করতে হয় তাহলে এ দেশে চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রয়োজন। সে কারণেই ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল তিনি যখন পূর্ব পাকিস্তানের পূর্ব বাংলার শিল্পমন্ত্রী ছিলেন তখন এফডিসি কমপ্লেক্স স্থাপনের জন্য বিল উত্থাপন করেছিলেন। তার হাত দিয়েই এ বিএফডিসি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এবং সেই এফডিসির মাধ্যমে গত ৬৬ বছরে অনেক কালজয়ী সিনেমা নির্মিত হয়েছে, অনেক সিনেমা আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রেরণা যুগিয়েছে, স্বাধীনতার পরও দেশ গড়তে উৎসাহ দিয়েছে, তেমনি অনেক গুণী শিল্পীর জন্ম হয়েছে। আমাদের কৃষ্টি, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিকে সংরক্ষণ করার ক্ষেত্রে বিএফডিসি অনন্য অবদান রেখে চলেছে।
তথ্যমন্ত্রী হাছান বলেন, আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এফডিসির নতুন কমপ্লেক্স নির্মিত হতে যাচ্ছে। চলচ্চিত্র শিল্পের কল্যাণে গত ৬৬ বছরে আর কোনো বড় স্থাপনা হয়নি। আজ যদিওবা এটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হচ্ছে এরই মধ্যেই তিনটি বেজমেন্ট এবং একতলার কিছু অংশ নির্মাণ হয়েছে। আশা করছি আগামী ২ বছরের মধ্যে এটির নির্মাণকাজ শেষ করে আল্লাহর ইচ্ছায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা আবার এ কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করবেন। এছাড়াও আমরা গাজীপুরে ১০৫ একর জায়গার ওপর বঙ্গবন্ধু ফিল্ম সিটি নির্মাণ করছি। প্রথম ধাপের কাজ শেষ হয়েছে দ্বিতীয় ধাপের কাজের জন্য ৩৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবং একনেকে পাস হয়েছে।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন যে, চলচ্চিত্র শিল্প এরই মধ্যেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আমাদের সিনেমা এখন দেশের সঙ্গে অন্যান্য দেশে একযোগে মুক্তি পায়। অনেক সিনেমা ১০-১২ টি দেশে মুক্তি পায় কিন্তু একটি সিনেমা ২১ কি ২২টি দেশেও মুক্তি পেয়েছে। সেখানে শুধু যে বাঙালিরা দেখছে তা না, বিদেশিরাও দেখছে। চীন, ইতালিতেও মুক্তি পেয়েছে। অনেক সিনেমা আন্তর্জাতিক পুরস্কার পাচ্ছে।
জাতীয়, সারাদেশ