বরিশালে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় দুপক্ষের মারামারির মধ্যে একজন নিহতের ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
স্থানীয় কৃষক লীগের নিহত নেতা সিরাজ সিকদারের (৫৮) ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে শনিবার দুপুরে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমানুল্লাহ আল বারী।
তিনি জানান, এ ঘটনায় শনিবার কোতোয়ালি মডেল থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিরাজ বরিশালের হিজলা উপজেলার উপজেলার কুড়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দা কোব্বাত সিকদারের ছেলে। এ ছাড়া তিনি উপজেলা গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষক লীগের সভাপতি ছিলেন।
শুক্রবার দুপুরে নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে জনসভার মাঠে দুপক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে তিনি মারা যান।
এদিকে, সিরাজ দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগে প্রার্থিতা বাতিল হওয়া বরিশাল-৪ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাম্মী আহম্মেদের অনুসারী বলে দাবি করেন, হিজলা উপজেলা কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মঞ্জুর মোর্শেদ।
মঞ্জুর আরও বলেন, “তারা আগে থেকে জনসভাস্থলে ছিলেন। পঙ্কজ নাথের অনুসারীরা সভাস্থলে প্রবেশ করে মারামারি শুরু করে। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। তখন মারামারির মধ্যে পড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন সিরাজ। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।”
ঘটনার সময় জনসভা মাঠে থাকা প্রত্যক্ষদর্শী সদর উপজেলার চরবাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা রেজাউল করিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ড. শাম্মী বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন। তখন শাম্মীর অনুসারীরা তার পক্ষে শ্লোগান শুরু করেন। ওই সময় বরিশাল-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ নাথের অনুসারীরা জনসভা মাঠে প্রবেশ করছিলেন।
বরিশাল