বামনার ডৌয়াতলা ইউনিয়নে লাইসেন্সবিহীন সুন্দরবন হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সিজারিয়ান অপারেশন করতে গিয়ে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ওই হসপিটালের চেয়ারম্যান ও ডৌয়াতলা ইউপি চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমানকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
শনিবার ভোর রাতে তাকে ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকার একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। ওইদিন বিকালে গ্রেফতার আসামিকে র্যাব-২ এর ক্যাম্প থেকে বামনা থানা পুলিশ গ্রহণ করে। রোববার সকালে চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানকে বরগুনা আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠান। জানা গেছে, গত ১৫ জানুয়ারি রাত ১০টায় সুন্দরবন হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভুল চিকিৎসায় মেঘলা আক্তার নামে এক প্রসূতি ও তার গর্ভের সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। ওই প্রসূতি উপজেলার উত্তর রামনা গ্রামের মো. রফিকুল ইসলাম তারেকের স্ত্রী। মামলা সূত্রে জানা গেছে, সুন্দরবন হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ১৫ জানুয়ারি বিকালে প্রসূতি মেঘলা আক্তারকে সিজার করানোর জন্য ভর্তি করা হয়।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তার প্রসব বেদনা বেড়ে গেলে হসপিটালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (অ্যানেস্থেশিয়া সার্জন) ডা. সবুজ কুমার দাস হসপিটালের মালিক পক্ষের পরামর্শ এবং পরিচালক রেজাউল ইসলামের উপস্থিতিতে অপারেশন শুরু করেন। অপারেশনের সময় রাত ১১টার দিকে প্রসূতি মারা যান। তারপর জীবিত নবজাতককে পুনরায় প্রসূতির পেটের মধ্যে রেখে সেলাই করে স্কসটেপ মেরে অপারেশন থিয়েটার কক্ষ থেকে বের করে দিয়ে প্রসূতিকে জরুরিভাবে বরিশাল নিয়ে যেতে বলেন।
বরিশাল বিভাগ