বরগুনার পাথরঘাটার বলেশ্বর নদীতে অভিযান চালিয়ে সাড়ে পাঁচ মণ হরিণের মাংস উদ্ধার করেছে স্টেশন কোস্টগার্ড। এ সময় তিন পাচারকারীরে আটক করা হয়।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হরিণঘাটা ইকোপার্ক থেকে দক্ষিণ বিষখালী নদী থেকে ধাওয়া দিয়ে তাদের আটক করেন কোস্টগার্ড সদস্যরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা দক্ষিণ স্টেশন কোস্টগার্ড কন্টিনজেন্ট কমান্ডার ফিরোজ জামান।
তিনি জানান, সুন্দরবন থেকে হরিণ নিয়ে বিষখালী নদী দিয়ে পাথরঘাটায় আসছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নদীতে অবস্থান নেন তারা। সকাল ১০টার দিকে বিষয়টি চোরাকারবারিরা টের পেয়ে দ্রুতগতিতে পালিয়ে যেতে চেষ্টা করে। পরে তাদের ধাওয়া দিয়ে আটক করা হয়। এ সময় দুজন পালিয়ে যায়। পরে তাদের ট্রলার তল্লাশি করে হরিণের তিনটি মাথাসহ সাড়ে পাঁচ মণ মাংস উদ্ধার করা হয়। মাংসগুলো বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন- আলী হোসেনের ছেলে আফজাল হোসেন (৪৫), আব্দুল হকের ছেলে হারুন (৩৫), আব্দুল করিম হাওলাদারের ছেলে আব্দুল মান্নান (৫৫)। এদের সবার বাড়ি পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী তাফালবাড়িয়ার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে। পালিয়ে যাওয়া দুজন হলো রশিদ শিকদারের ছেলে আবুল বাসার মাঝি ও সাহাদাত হোসেন। সাহাদাত হোসেনের বাবার নাম জানা যায়নি।
আটক আফজাল হোসেন জানান, গত পাঁচদিন আগে পাথরঘাটার বলেশ্বর নদীতে মাছ শিকারের জন্য বের হন পাঁচ জেলে। পরপর দুদিন মাছ না পেয়ে মাঝি আবুল বাশারের নির্দেশে সুন্দরবন প্রবেশ করে হরিণ শিকার করেন তারা। সেখান থেকে ১০টি হরিণ শিকার করে মাংস নিয়ে সোমবার সকালে বিষখালী নদী হয়ে পাথরঘাটার দিকে আসে তারা। কোস্টগার্ডের ধাওয়া খেয়ে রশিদ শিকদারের ছেলে আবুল বাসার মাঝি ও সাহাদাত হোসেন পালিয়ে যায়। সাহাদাত হোসেনের বাবার নাম জানা যায়নি।
হরিণঘাটা বনবিভাগের বিট কর্মকর্তা আব্দুল হাই জানান, উদ্ধার হওয়া তিনটি মাথা ও ২২০ কেজি হরিণের মাংস বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করেছে। মাংসগুলো বিকাল ৫টায় আদালতের নির্দেশে কেরোসিন দিয়ে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আটককৃতদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলা দিয়ে পাথরঘাটা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
বরগুনা, বরিশাল বিভাগ