বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার চাখারে ঘরের সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় নাদিয়া আক্তার মিমি (১৪) নামের এক মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১ জুলাই) উপজেলার চাখারে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মুঠোফোনে কথা বলা নিয়ে মায়ের বকুনি খেয়ে অভিমানে সে আত্মহত্যা করেছে।
জানা গেছে, নরসিংদিতে মিমির বাবা নজরুল ইসলাম মারা যাওয়ার পরে তার মা তানিয়া বানারীপাড়ার চাখার ইউনিয়নের দড়িকর গ্রামে রিপন নামের একজনকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন।
মায়ের কাছে থেকে মিমি স্থানীয় চাখার দরবার শরীফ মাদরাসায় লেখাপড়া করতো। রবিবার (৩০ জুন) বাড়ির সামনের রাস্তায় গিয়ে নরসিংদীর চাচার সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলে মিমি।
এনিয়ে তার মায়ের সঙ্গে তর্কবিতর্ক হয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঘরের সিলিং ফ্যানে গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে বানারীপাড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাইনুল ইসলাম জানান, এ ব্যপারে থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। প্রকৃত মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বরিশাল শেবাচিম মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বরিশাল, বরিশাল বিভাগ