নিজস্ব প্রতিবেদক:::জাল দলিল তৈরী করে বিএস খতিয়ান প্রস্তুতের অভিযোগে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার ভুমি অফিসের তিন কর্মচারীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। তবে অভিযোগ উঠেছে গ্রেফতার না হওয়ায় বহাল তবিয়তে অফিস করছেন ওইসকল কর্মচারীরা। গ্রেফতারি পরোয়ানার পর আটক না হওয়া ও অফিস চালিয়ে যাওয়ায় বিস্মিত খোদ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরাই।
আদালত ও মামলার বাদী সূত্রে জানা যায়, বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা ইউনিয়নের মেম্বর ও হিজলা গ্রামের বাসিন্দা ফাতেমা আক্তার লিপির পৈত্রিক সম্পত্তি কয়েক বছর আগে জাল দলিল ও সেই মোতাবেক খতিয়ান খুলে একই এলাকার বাবুল জোমাদ্দার ও তার কয়েক স্বজনের নামে করে দেন তৎকালিন বাবুগঞ্জ ভুমি অফিসের কানুনগো ও বর্তমানে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এল এ শাখায় কর্মরত মোঃ তফিকুর রহমান, উপজেলা ভুমি অফিসের সার্ভেয়ার মুঃ জসিম উদ্দিন খান এবং মাধবপাশা ইউনিয়নের তৎকালিন তহশিলদার (বর্তমানে বাকেরগঞ্জ কর্মরত) আঃ বারেক। বিষয়টি জানতে পেরে জমির মুল মালিক ফাতেমা আক্তার লিপি প্রথমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
সেখানে সুরহা না পেয়ে তিনি আদালতের দারস্থ হন। লিপি এই জাল জালিয়াতি চক্রের সাথে জড়িত ওই তিন সরকারি কর্মচারি ছাড়াও ভুয়া জমির মালিক ও এর সাথে জড়িতদের আসামী করে বরিশাল মেট্রোপলিটন আদালতে মামলা দায়ের করেন। যার নম্বর এম পি ১৮/২০২৩। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য মেট্রোপলিটন ডিবিকে নির্দেশ প্রদান করেন।
ডিবির তদন্তে অভিযোগের সত্যতা প্রমান হওয়ায় আদালত গত ২৯ জুলাই আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। তবে আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে স্ব স্ব কর্মস্থলে রয়েছেন সরকারি তিন কর্মচারি। বিষয়টি অবগত করে ও সরকারি ওই কর্মচারিদের গ্রেফতারের নির্দেশ প্রদানের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করেছেন মামলার বাদী।
মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন, বাবুল জোমাদ্দার, কামাল জোমাদ্দার, কবির হোসেন জোমাদ্দার, ফারুক হোসেন তালুকদার, মিজানুর রহমান ওরফে তুহিন, আসওয়াত হোসেন ওরফে সোহাগ, আনোয়ার হোনের খোকন, আলমগীর হোসেন ও সোহেল জোমাদ্দার।
বরিশাল, বরিশাল বিভাগ