ভোলায় টাকার জন্য কাঠ দিয়ে পিটিয়ে আহত করার পর মাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে পাষণ্ড ছেলে। এ ঘটনার পর মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ভোলা সদর হাসপাতালের সামনে থেকে তাকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহতের নাম নুরজাহান বেগম (৭০)। তিনি ভোলা পৌর কাঠালি এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত সাইফুল ইসলামের স্ত্রী। ঘাতক ছেলের নাম ভুট্ট ওরুফে শিপন (৩০)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, নুরজাহান বেগম প্রায় ৩০ বছর ধরে পৌর কাঠালি এলাকার হাওলাদার বাড়িতে পৌর ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হেলাল উদ্দিনের বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন। সেই সুবাদে তিনি হেলাল কাউন্সিলরের পুরাতন বসতঘরে ছেলেকে নিয়ে থাকেন।
সোমবার রাত ১০টার দিকে ভুট্ট তার মায়ের কাছে টাকা দাবি করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মা-ছেলের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে প্রথমে কাঠ দিয়ে মাকে পিটিয়ে আহত করে। পরে ধারালো ছুরি নিয়ে তাকে হত্যা করতে গেলে নুরজাহান আত্মরক্ষায় ঘর থেকে বের হয়ে যান। পরে তাকে তাড়া করে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে পালিয়ে যায় ছেলে। ভুট্ট ওরুফে শিপন কিছুটা মাদকাসক্ত ও মানসিক রোগী বলেও জানান স্থানীয়রা।
ভোলা মডেল থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান পাটোয়ারী জানান, নিহতের বোনের ছেলে একটি হত্যা মামলা করেছেন। এ ঘটনায় ঘাতক ছেলেকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।
বরিশাল বিভাগ, ভোলা