নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: বরিশালের মুলাদী উপজেলায় ডাকাতিতে ধরা পড়ার পর ছিনিয়ে নিতে দলের অন্যদের হামলায় এক ডাকাত নিহত হয়েছেন। এতে ডাকাতির শিকার পরিবারের পাঁচ সদস্য আহত হন। রবিবার ভোরে উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের চর সাহেব রামপুর গ্রামের লক্ষ্মীরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওই এলাকার জনপ্রতিনিধি মো. মজিবর রহমান এই তথ্য বরিশালটাইমসকে নিশ্চিত করেন, তিনি ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বর)।
নিহত বাবু (২৭) বরিশাল শহরের কাশিপুর এলাকার বাসিন্দা। তবে তিনি মুলাদীর বাটামারা ইউনিয়নে নানাবাড়ি থাকতেন।
একই পরিবারের আহতরা হলেন, স্থানীয় রামপুর গ্রামের এছাহাক বেপারী, তার স্ত্রী মাহফুজা বেগম, ছেলে ইব্রাহিম, সুজন এবং সুমন। তিন ভাইকে মাদারীপুরের কালকিনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। এছাহাক ও মাহফুজাকে বাড়িতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ইউপি সদস্য মজিবর বরিশালটাইমসকে জানান, শনিবার দিবাগত রাতে চার জনের ডাকাত দল দরজা ভেঙে এছাহাকের ঘরে ঢোকে। পরে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ঘর থেকে টাকা লুট করে নেয়। ভোরের দিকে ডাকাতরা আবার এসে আরও টাকা বের করতে বলে পরিবারের সবাইকে মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে ডাকাত দলের বাবুকে জাপটে ধরে ফেলেন পরিবারের সদস্যরা। তখন তাকে ছাড়িয়ে নিতে অন্য ডাকাতরা এছাহাকসহ তার পরিবারের সদস্যদের এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে ও হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে এছাহাক পরিবারের ৫ সদস্য ছাড়াও ধরে ফেলা ডাকাত গুরুতর আহত হন। খবর পয়ে পুলিশ বাবুকে উদ্ধার করে মাদারীপুরের কালকিনী হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
স্থানীয় রিপন সরদার জানান, গ্রামের এছাহাক বেপারীর ছেলে বিদেশে যাবেন, এ লক্ষে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা ঋণ নেন। কোনোভাবে ডাকাতরা টাকা কথা জেনে ওই বাড়িতে হানা দিয়ে তাণ্ডব চালিয়েছে।
বাটামারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সালাহউদ্দিন জানান, হামলার সময় পরিবারের সদস্যরা এক ডাকাতকে জাপটে ধরেন। তাকে ছাড়াতে গিয়ে অন্য ডাকাতদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বাবু গুরুতর জখম হন।
মুলাদী থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আল আমিন বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হচ্ছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লিড নিউজ বরিশাল বিভাগ