ঝালকাঠির ভৈরবপাশা ইউনিয়নের উত্তমাবাদ এলাকায় বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় হাসান হাওলাদার নামে এক সৌদি প্রবাসীর বসতঘরে হামলা, ভাঙ্চুর ও লুটপাটের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। শনিবার বেলা ১১টায় ঝালকাঠি সাংবাদিক সংস্থা কার্যালয় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ অভিযোগ করেন প্রবাসী হাসানের চাচা খলিলুর রহমান। এ সময় প্রবাসী হাসান হাওলাদারের পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে প্রবাসী হাসানের চাচা খলিল হাওলাদার বলেন, হাসান প্রবাসে থাকা অবস্থায় তার ফুপা নুর আলম ব্যবসা পরিচালনার জন্য হাসানের কাছ থেকে প্রথম ধাপে চার লাখ টাকা, তারপরে দেশে আসার পরে আবার দেড় লাখ টাকা ধার নেয়। পরবর্তীতে হাসান টাকা চাইলে টাকা না দেয়ার জন্য হাসানের পিছনে নুর আলমের মেয়ে মারিয়াকে লাগিয়ে দেয়। এ অবস্থায় গত ২৬ আগস্ট সন্ধায় নুর আলম ও তার স্ত্রী নাসরিন আক্তার, স্থানীয় ফেরিঘাট এলাকার হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী মিথিলা আক্তার এবং মানিক হাওলাদারসহ অজ্ঞাত ৫/৬ জন মিলিয়া মারিয়া আক্তারকে প্রবাসী হাসানের বাড়িতে উঠিয়ে দেয় এবং বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করে। হাসানের পরিবার বিয়েতে রাজী না হলে ঘরের মধ্যে তারা ভাঙচুর চালায় ও লুটপাট করে। এসময় নগদ অর্থসহ তারা স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। এছাড়া হাসানের বৃদ্ধ মা ও ছোট বোনকে মারধর করে। এ অবস্থায় ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে পুলিশ আসার আগেই মেয়েকে হামলাকারীরা হাসানের ঘরে রেখে চলে যায়। পরের দিন এলাকাবাসীর চাপের মুখে মারিয়া আক্তার নিজ বাড়িতে চলে যেতে বাধ্য হয়।
এ অবস্থায় সংবাদ সম্মেলনে নুর আলম ও তার সহযোগীদের হাত থেকে প্রবাসী হাসান ও তার পরিবারের রক্ষার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানানো হয়।
এ বিষয়ে মারিয়া আক্তার জানান, হাসানের সাথে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এমনকি হাসান আমাকে বিয়ে করবে বলে আমার সাথে সকল ধরনের সম্পর্ক করেন। এখন তিনি আমাকে বিয়ে করবে না বলে এ সকল অযুহাজ দেয়।
ঝালকাঠী