বরিশালের মুলাদীতে শ্বাসরোধে আশরাফুল আলম হাসিব (২২) নামের এক তরুণকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্ত্রীর বাবা ও ভাইকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার গাছুয়া ইউনিয়নের পূর্ব হোসনাবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত হাসিব পূর্ব হোসনাবাদ গ্রামের আব্দুল মালেক হাওলাদারের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, হাসিবের সঙ্গে পাশের চরকালেখান ইউনিয়নের দক্ষিণ গাছুয়া গ্রামের লূৎফর রহমানের মেয়ের তানজিলার বিয়ে হয়। কিন্তু হাসিবের বাবা-মা কিংবা পরিবারের সদস্যরা এই প্রেমের বিয়ে মেনে নেননি। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলছিল। বিয়ের স্বীকৃতি না পেয়ে কিছুদিন আগে তানজিলা বাদী হয়ে হাসিব, তাঁর বাবা আব্দুল মালেক, মা জাহানারা, ভাই নাজমুলকে আসামি করে বরিশাল নারী নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। ওই মামলায় গত ১৪ সেপ্টেম্বর তাঁরা আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন।
জাহানারা বেগম বলেন, ‘লূৎফর রহমান তাঁর মেয়েকে পুত্রবধূ হিসেবে মেনে নিতে হাসিবসহ সবাইকে চাপ দিত। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লুৎফর রহমান ও তাঁর ছেলে লিমনসহ পাঁচজন বাড়িতে আসে। তাঁরা আমার হাত-পা, মুখ বেঁধে বারান্দায় রেখে ঘরের মধ্যে গিয়ে হাসিবের শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে বড় ছেলে নাজমুল এসে আমার বাঁধন খুলে দিলে ঘরের ভেতরে গিয়ে ছেলের লাশ দেখতে পাই।’
হাসিবের শ্বশুর লুৎফর রহমান বলেন, ‘হাসিব ও তানজিলা প্রেম করে বিয়ে করেছে। কিন্তু আব্দুল মালেক হাওলাদার বিয়ে মেনে নেননি। তিনি বিয়ে ভাঙার জন্য হাসিবকে অনেক চাপ দিচ্ছিলেন। বিয়ে না ভাঙায় তাঁরা সবাই মিলে হাসিবকে হত্যা করে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে।’
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, হাসিবের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। হাসিবের শ্বশুর ও সম্বন্ধী এবং পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্তের পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বরিশাল