ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বিনিয়োগকারী সুরক্ষা তহবিল থেকে ২৫ কোটি টাকা চার ব্রোকারেজ হাউজের ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ব্রোকারেজ হাউজগুলো হলো ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ, তামহা সিকিউরিটিজ, বানকো সিকিউরিটিজ এবং শাহ মোহাম্মদ সগীর অ্যান্ড কো লিমিটেড। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে সোমবার এ সংক্রান্ত চিঠি ডিএসইতে পাঠানো হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, করোনাকালীন জালিয়াতির মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের টাকা আত্মসাৎ করেছে ৪টি ব্রোকারেজ হাউজ। সর্বশেষ চার ব্রোকারেজ হাউজে সম্মিলিত হিসাবে ঘাটতি প্রায় ৪১০ কোটি টাকা। এরমধ্যে তামহা সিকিউরিটিজ ১৪০ কোটি, ক্রেস্ট ১২৮, বানকো সিকিউরিটিজের ১২৬ এবং শাহ মোহাম্মদ সগীরের ১৫ কোটি টাকার বেশি ঘাটতি রয়েছে।
কমিশন মনে করছে, বিনিয়োগকারী সুরক্ষা তহবিলের এই অর্থ দিয়ে তিন ব্রোকারেজ হাউজের ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের কিছুটা হলেও সহায়তা দেওয়া সম্ভব। পরবর্তীতে তিন হাউজের সম্পদ বিক্রি করে তহবিলের টাকা সমন্বয় করা হবে। এ কারণেই ২৫ কোটি টাকা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে শেয়ারবাজারে বহুল আলোচিত ডিএসইর বিনিয়োগকারী সুরক্ষা তহবিলে নয়-ছয়ের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে বিএসইসি একেক সময় একেক তথ্য দিচ্ছে ডিএসই। বিএসইসিতে দেওয়া ডিএসইর সর্বশেষ চিঠিতে বলা হয়, দুটি উৎস থেকে পাওয়া হিসাব অনুসারে তহবিলের আকার ৫২ কোটি টাকার মতো হবে। তবে কমিশন মনে করছে, ঠিকমতো হিসাব করলে এই অর্থ শত কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। এ ব্যাপারে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কমিশন।
প্রসঙ্গত, বিনিয়োগকারী সুরক্ষা তহবিল নিয়ে ৯ জুলাই রিপোর্ট প্রকাশ করে যুগান্তর। এরপরই বিষয়টি ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসে।
জাতীয়