বরিশালের গৌরনদী উপজেলার চর দিয়াশুর গ্রামে পারিবারিক কলহের জেরধরে বৃদ্ধা হেরোনা বেগম হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা থানা পুলিশের কাছে স্বীকার করায় ছেলে সুমন প্যাদা ও স্বামী হায়দার আলী প্যাদাকে বুধবার দুপুরে বরিশাল অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়ার জন্য পাঠানো হয়েছে।
মামলার বাদী নিহতের ভাই মনির হোসেন সিকদার অভিযোগ করে বলেন, পারিবারিক কলহের জেরধরে হেরোনা বেগমকে তার ছোটছেলে সুমন প্যাদা ও পুত্রবুধু রাখি বেগম, তুলি বেগম প্রায়ই শারীরিক নির্যাতন করতো।
সোমবার রাতে বাকবিতান্ডার একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বোন বৃদ্ধা হেরোনা বেগমের মাথায় সীল পাটার পূতো দিয়ে আঘাত করে। মাথায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরনের ফলে হেরোনা বেগম মারা যায়।
পরে হত্যা মামলা থেকে বাঁচতে বাড়ির পাশে একটি টয়লেটের ভিতরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হাটু ভাজ করে হেরোনার লাশ ঝুলিয়ে রাখে এবং আত্মহত্যার কথা বলে ছেলে সুমন প্যাদা গৌরনদী মডেল থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মাথায় রক্তাক্ত জখম দেখে সন্দেহ হয়। পরবর্তীতে পুলিশ নিহতের ছেলে সুমন প্যাদা, পুত্রবধু রাখি বেগম, তুলি বেগম ও স্বামী হায়দার আলী প্যাদাকে আটক করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়।
গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হেলাল উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় ৬/৭ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরমধ্যে নিহতের স্বামী হায়দার আলী প্যাদা ও ছোট ছেলে পুত্র সুমন প্যাদা প্রাথমিক ভাবে হত্যার কথা স্বীকার করায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়াও দুই পুত্রবধুু রাখি বেগম ও তুলি বেগম জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
বরিশাল