স্টাফ রির্পোটার ॥ মাত্র আট হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে চালককে হত্যা করে ছিনতাই করা একটি অটোরিকশা। পূর্বপরিচিত তিন কিশোরই পরিকল্পিতভাবে এ কাণ্ড করে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আসামিদের গ্রেপ্তারের পর অনিক হত্যা রহস্য উন্মোচনের দাবি করে পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শফিউর রহমান এসব তথ্য জানান।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের ঝনঝনিয়া এলাকা থেকে অটোরিকশাচালক ফেরদৌস শেখ অনিক (১৩) নামের এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
লাশ উদ্ধারের পরপরই প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয় তার অটোরিকশাটি ছিনতাই করার জন্যই অনিককে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। এ ঘটনায় ওই দিনই নিহতের মা লাকি বেগম বাদি হয়ে পিরোজপুর সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে জড়িতদের আটকের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান শুরু করা হয়।
অভিযানে ডিবি পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে হত্যাকারীদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। পরে পিরোজপুর, বাগেরহাট ও ঢাকায় অভিযান চালিয়ে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তাদের দেওয়া তথ্যে ছিনতাই হওয়া অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত দুজনের বয়স ১৭ বছর, অপরজনের ১৪। আরেকজন বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলার হোগলাপাশা ইউনিয়নের মহিষপুড়া এলাকার মেহের চাঁন হাওলাদার (২৩)।
পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শফিউর রহমান জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী ওই তিনজন কিশোর অনিকের রিকশায় ওঠে এবং শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘোরে। পরে সোমবার সন্ধ্যার কিছু সময় পরে সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের ঝনঝনিয়া এলাকায় গিয়ে পিরোজপুর-নাজিরপুর-ঢাকা সড়কের পাশের একটি সড়কে নিয়ে অনিকে গলা চেপে হত্যা করে রিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যায়।
বাগেরহাটের হোগলাপাশা ইউনিয়নের মহিষপুড়া এলাকার পুরাতন মালামাল ক্রয়কারী মেহের চাঁন হাওলাদারের কাছে আট হাজার টাকায় রিকশাটি বিক্রি করা হয়।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শফিউর রহমান আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। আসামিরা তাদের অপরাধ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
বরিশাল বিভাগ