নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: মামলায় নাম না থাকার পরেও সুনিদিষ্ঠ কোন ব্যাখ্যা না দিয়ে অজ্ঞাতনামা হিসেবে গ্রেফতার করায় গৌরনদী থানার এস আই মো : নাছির উদ্দিনকে শোকজ করেছে আদালত। একই সাথে আদেশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে ওই দারোগাকে স্ব-শরীরে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেয় আদালতের বিচারক। রোববার বিকেলে বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গৌরনদী আমলী আদালতের বিচারক মাহফুজুর রহমান এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ সেপ্টেম্বর গৌরনদী উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকার তরুনী মুরছালিন আক্তারকে নিজ বাড়ি সংলগ্ন সড়ক থেকে অপহরনের অভিযোগে গৌরনদী থানায় একটি মামলা করা হয়। ওই মামলায় রাসেল বিশ্বাস, এনামুল বিশ্বাস ও কাশেম ঘরামীকে নামধারী আসামী করা হয়।
ওই মামলায় কোন অজ্ঞাত আসামী করা হয়নি। কিন্তু মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গৌরনদী থানার এস আই মো : নাছির উদ্দীন মুল আসামীদের গ্রেফতার না করে গত ১৩ অক্টোবর শুক্রবার ঢাকা থেকে রাসেলের ভগ্নিপতি কাউয়ুম বেপারীকে আটক করে গৌরনদী থানায় নিয়ে আসে। এসময় কাউমের স্ত্রী গ্রেফতারে বাধা দিলে তাকে লাঞ্চিত করা হয় বলেও অভিযোগ করা হয়।
পরদিন কাউমের স্বজনদের গৌরনদী থানায় এসে দেখা করার কথা বলেন এস আই মো : নাছির উদ্দীন। কিন্তু ওই দারোগার সাথে দেখা করে কোন আপোষ না করায় শনিবার বিকেলে কাইয়ুম বেপারীকে সন্দেহজনক আসামী হিসেবে গ্রেফতার দেখিয়ে বরিশাল জেল হাজতে প্রেরন করা হয়।
তবে রোববার আদালতে কাইয়ুম বেপারীর জামিন আবেদন করা হলে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করে। একই সাথে এজাহারভুক্ত আসামী না হওয়ার পরেও সুস্পস্ট কোন ব্যাখ্যা না দেওয়ায় আদেশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে ওই দারোগাকে স্ব-শরীরে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেন আদালতের বিচারক।
হোম