স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বেদে কিশোরীকে চার মাস ধরে ধর্ষণের পর হত্যাচেষ্টা অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার মুলাদী সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ চরডাকাতিয়া গ্রামের হারুন মাতুব্বরের ছেলে হাসান মাতুব্বর (২৫) ওই কিশোরীকে আটকে রেখে ধর্ষণের পর হত্যাচেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তার বাবা।
এ ঘটনায় রোববার বিকালে কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে মুলাদী থানায় অভিযোগ করেছেন।
কিশোরী জানান, উপজেলার আড়িয়ালখাঁ নদীতে নৌকায় বাস করতেন তারা। প্রায় ৬ মাস আগে হাসান মাতুব্বর আড়িয়ালখাঁ নদীতে মাছ ধরতে গেলে তার সঙ্গে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্রে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ৪ মাসে আগে হাসান মাতুব্বর বিয়ের প্রলোভন দিয়ে কিশোরীকে নিয়ে যশোর জেলা সদরে এক বন্ধুর বাসায় ওঠে। সেখানে বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার কথা বলে হাসান কিশোরীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে। ওই সময় বিয়ের কাগজপত্র দেখতে চাইলে পরে দেওয়ার আশ্বাস দেয় হাসান।
যশোরে কিছুদিন অবস্থানের পরে ঢাকার কালিগঞ্জ এলাকায় গিয়ে হাসান ও কিশোরী স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসা ভাড়া নেয়। গত ৬ নভেম্বর কিশোরী হাসানের কাছে বিয়ের প্রমাণপত্র চায়। এতে হাসান ক্ষিপ্ত হয়ে কিশোরীর হাত-পা বেঁধে মারধর করে। একপর্যায়ে কিশোরীর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তাকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে হত্যার চেষ্টা করে।
ওই সময় কিশোরীর ডাকচিৎকারে পার্শ্ববর্তী বাসার লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে লালমাটিয়া এলাকার একটি ক্লিনিকে ভর্তি করে। ঘটনার পর হাসান মাতুব্বর মোবাইল ফোন বন্ধ করে পালিয়ে যায়।
কিশোরীর বাবা জানান, গত ১০ নভেম্বর রাতে ক্লিনিক থেকে একজন চিকিৎসক মোবাইল ফোনে মেয়ের অসুস্থতার কথা জানান। মেয়েটির গলায় ফাঁস লাগানোর দাগ আছে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম রয়েছে। ১১ নভেম্বর ক্লিনিক থেকে মেয়েকে এনে রোববার সকালে মুলাদী হাসপাতালে ভর্তি করেছি।
এ ব্যাপারে মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাহাবুবুর রহমান জানান, বেদে কিশোরীর বাবার অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সারাদেশ