ভোলার লালমোহন উপজেলার ধলিগৌরনগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা বিএনপির ষড়যন্ত্র বলে অভিযোগ করেছে জেলা ছাত্রলীগ। বুধবার সকালে ভোলা প্রেস ক্লাবে জেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে সংবাদ সম্মেলনে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাইহান আহমেদ এমন অভিযোগ করেন।
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, লালমোহনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিনের বাড়ি। আর বিএনপিরা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের সুনাম নষ্ট করতে চক্রান্ত করছে।
বিএনপি পরিকল্পিতভাবে বাহির থেকে বোমা বা ককটেল নিক্ষেপ করে ত্রাস সৃষ্টি করতে এ কাজ করেছে বলেও অভিযোগ করেন ওই ছাত্রলীগ নেতা।
তিনি আরও বলেন, বিএনপিসহ একটি মহল বোমা বা ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম জয়ের সম্পৃক্ততার অভিযোগ করলেও তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কারণ সোমবার থেকে সে ঢাকায় অবস্থান করে স্থানীয় সংসদ সদস্যের মনোনয়নপত্র জমাদান অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসিব মাহমুদ হিমেল, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নেওয়াজ শরীফ কুতুব, সাধারণ সম্পাদক সালমান গোলদারসহ জেলা ও উপজেলা ছত্রলীগের নেতারা।
এদিকে আজাহার ও নিহতের পরিবারের অভিযোগ, সোমবার রাত ১১টার দিকে লালমোহন উপজেলার ধলিগৌরনগর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি মো. আজাহারের বাড়িতে ককটেল নিক্ষেপ করে একদল দুর্বৃত্ত। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন ওই বাড়িতে বেড়াতে আসা মো. মনির বয়াতী ও মো. ফিরোজ। পরে আহতদের ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তাদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঢাকায় নেওয়ার পথে ভোলা সদরের ভেদুরিয়া এলাকায় মনির বয়াতীর মৃত্যু হয়। এছাড়াও আহত ফিরোজকে ঢাকায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে নিহত মনির বয়াতীর ছেলে মো. বেলাল হোসেন বিস্ফোরণ আইনে বাহির থেকে ককটেল নিক্ষেপ করে হত্যার অভিযোগে লালমোহন থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
বরিশাল বিভাগ