পিরোজপুরের নাজিরপুরে বোরো ধানের বীজতলা রক্ষার জন্য দেওয়া ইঁদুর মারার ফাঁদে বিদ্যুতায়িত হয়ে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার উপজেলার শেখমাটিয়া ইউনিয়নের বড় আমতলা ও রঘুনাথপুর গ্রামে পৃথক দুর্ঘটনা দুটি ঘটে।
মৃতরা হলেন- ইউনিয়নের বড় আমতলা গ্রামের মৃত আজিজ শেখের ছেলে লিটন শেখ (৪৫) ও রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত মেসের সর্দারের ছেলে মোসলেম সর্দার (৬০)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উভয়েই বোরো ধানের বীজতলা রক্ষার জন্য জমিতে দেওয়া ইঁদুর মারার তারে বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা গেছেন।
কৃষক লিটন শেখের স্ত্রী সেলিনা বেগম বলেন, তার স্বামী তাকে ওই দিন দুপুরের ভাত প্রস্তুত করতে বলে গোসলের উদ্দেশ্যে বের হন। এ সময় বাড়ির সামনের জমিতে বোরো ধানের জন্য দেওয়া বীজতলা দেখতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যান। তিনি পেশায় একজন ভ্যানচালক ও কৃষক।
স্থানীয় মো. জাহিদুল ইসলাম মোল্লা জানান, ওই কৃষক তার বাড়ির সামনের জমিতে বোরো ধানের বীজ ইঁদুরের খাবার থেকে রক্ষা করতে সেখানে বিদ্যুতের সংযোগ দেন। কিন্তু তিনি ওই দিন দুপুর ১টার দিকে জমিতে থাকা বোরো ধানের বীজতলা দেখতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হন। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. অশিত কুমার মিস্ত্রী বলেন, তাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। তার বাম হাতের কনুই ও বাম পায়ের নিচের অংশে বিদ্যুতের স্পর্শে ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে।
এছাড়া একই দিন ভোরে উপজেলার রঘুনাথপুরে মোসলেম সর্দার (৬০) নামের এক কৃষক নিজ জমিতে ইঁদুর মারার বৈদ্যুতিক ফাঁদে আটকে মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
মৃতের পরিবার ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই দিন ভোরে তিনি তার জমিতে বোরো ধানের বীজতলা দেখতে যান; কিন্তু এর আগে ওই বীজতলার ধান ইঁদুরের হাত থেকে রক্ষা করতে সেখানে দেওয়া বৈদ্যুতিক তারে আটকে তিনি গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পার্শ্ববর্তী বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, বিদ্যুতায়িত হয়ে পৃথক স্থানে দুই কৃষকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
সারাদেশ