বরগুনা সরকারি কলেজে ঢুকে নয়ন বন্ড গ্রুপ নামে পরিচিত একটি কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা ছাত্রদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ওই কিশোর গ্যাং বন্দুকযুদ্ধে নিহত নয়ন বন্ডের সহযোগীদের।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. মতিয়ার রহমান।
জানা যায়, বরগুনা সরকারি কলেজের পূর্বপাশে বটতলা এলাকার রানা, নিশাত ও মো. রাফি মঙ্গলবার সকালে একটি মোটরসাইকেল নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে জোরপূর্বক প্রবেশ করে একাদশ শ্রেণির ছাত্রদের ডেকে এনে দা দিয়ে হামলা চালায়। এ সময় ইমরান নামের এক শিক্ষার্থী বাধা দিতে গেলে আহত হয়। অন্য ছাত্ররা এসে বাধা দিলে কিশোর গ্যাং কলেজ ছেড়ে চলে যায়।
আহত শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন বলেন, দুই দিন আগে ছোট ভাই আওলাদ ও তার বন্ধুদের সঙ্গে ঝামেলা হয়। সেখানেও আওলাদের ওপর ওই কিশোর গ্যাং হামলা করে। মঙ্গলবার আবার ওই কিশোর গ্যাং কলেজে ধারালো দা নিয়ে আসে। আমরা বাধা দিলে আমার হাতে আঘাত করে তারা চলে যায়। আমরা কলেজে যেতে এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। কিশোর গ্যাংটি বন্দুকযুদ্ধে নিহত নয়ন বন্ডের দোসরদের।
জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সবুজ মোল্লা বলেন, ঘটনার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম। ক্যাম্পাসে নয়ন বন্ড গ্রুপের সদস্যরা এসে কলেজের সাধারণ ছাত্রদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় আমরা পুলিশকে খবর দেই। পুলিশ আসার আগেই কিশোর গ্যাং ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। তবে আমাদের জেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠে এমন ঘটনা ঘটতে থাকলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা কোথায় থাকবে? আমরা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা চাই।
বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল হালিম বলেন, আমরা খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়েছি। তবে ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তদের পাওয়া যায়নি। তবে কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা ব্যবস্থা নেব। বিভিন্ন সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। এরা কিশোর গ্যাং নাকি অন্য কোনো গ্রুপের সদস্য, সেটা শনাক্তে কার্যক্রম চালাচ্ছি।
কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. মতিয়ার রহমান বলেন, আগেও এরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। আমি আসার পরে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও আবার তৎপর হয়ে উঠেছে বহিরাগত এক শ্রেণির কিশোর গ্যাং। এ অবস্থায় ক্যাম্পাসে প্রশাসনের নজরদারি করাটা খুবই জরুরি।
ওই কিশোর গ্যাং সদস্যদের না পাওয়ায় তাদের বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৬ জুন রিফাত শরীফকে নয়ন বন্ড ও তার সহযোগীরা বরগুনা সরকারি কলেজ গেটে বেলা ১২টায় কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় স্ত্রী মিন্নিসহ ৭ জনের ফাঁসির আদেশ হয়।
সারাদেশ