বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়ছে। ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে সেই চাপ। চলতি অর্থবছরের ৫ মাসে নভেম্বর পর্যন্ত বেড়েছে ঋণ পরিশোধের পরিমাণ। অন্যদিকে কমছে বৈদেশিক অর্থছাড়। তবে প্রতিশ্রুতির পরিমাণ বাড়ছে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এটি প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের ৫ মাসে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে ১৩ কোটি ৩২ লাখ ১৮ হাজার ডলার। এর মধ্যে সুদ ৫ কোটি ৬২ লাখ ২৩ হাজার এবং আসল ৭ কোটি ৬৯ লাখ ৯৫ হাজার ডলার।
গত অর্থবছরের একই সময়ে মোট ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ছিল ৮ কোটি ৮০ লাখ ৪৬ হাজার ডলার। এর মধ্যে সুদ ২ কোটি ৩৭ লাখ ৬৭ হাজার এবং আসল ৬ কোটি ৪২ লাখ ৭৯ হাজার ডলার ছিল। পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত অর্থবছরের চেয়ে চলতি অর্থবছরের নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৫ কোটি ডলার বেশি পরিশোধ করতে হয়েছে।
এদিকে কমছে বৈদেশিক অর্থছাড়। গত ৫ মাসে বিভিন্ন প্রকল্পের বিপরীতে উন্নয়ন সহযোগীরা ছাড় করেছে ২১ কোটি ১৭ লাখ ডলার। এর মধ্যে ঋণের পরিমাণ হলো ২০ কোটি ৪৮ লাখ ৩০ হাজার এবং অনুদান ৬৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার।
গত অর্থবছরের একই সময়ে ছাড় হয়েছিল ২৪ কোটি ৬২ লাখ ৪৮ হাজার ডলার। এর মধ্যে ঋণ ছিল ২৩ কোটি ৫৬ লাখ ৮৯ হাজার এবং অনুদান ১ কোটি ৫ লাখ ৫৯ হাজার ডলার।
পর্যালোচনা করলে দেখা যায় গত অর্থবছরের তুলনায় এ অর্থবছরে বৈদেশিক অর্থছাড় ৩ কোটি ৪৫ লাখ ডলার কম হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের ৫ মাসে উন্নয়ন সহযোগীরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ৫৮ কোটি ৫৯ লাখ ১৫ হাজার ডলার। এর মধ্যে ঋণ ৫৫ কোটি ৭২ লাখ ৭৬ হাজার ডলার এবং অনুদান ২ কোটি ৮৬ লাখ ৩৯ হাজার ডলার। গত অর্থবছর একই সময়ে প্রতিশ্রুতি এসেছিল ৪ কোটি ৬১ লাখ ৩১ হাজার ডলার। এর মধ্যে ঋণ ৩ কোটি ২০ হাজার এবং অনুদান ছিল ১ কোটি ৬১ লাখ ১১ হাজার ডলার।
পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এ অর্থবছর ৫৩ কোটি ৯৮ লাখ ডলার।
অর্থনীতি