ভোলার লালমোহনে ইউপি সচিবের বাসা থেকে পুত্রবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার রাতে উপজেলার কর্তারহাট এলাকা থেকে লাশ উদ্ধার করে প্রথমে চরফ্যাশন হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা। পরে নিহতের পিতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে লালমোহন থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা মর্গে পাঠায়।
নিহত লামিয়া উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সৌদি প্রবাসী জসিম হাওলাদারের মেয়ে।
লালমোহন থানার ওসি এসএম মাহবুব উল আলম জানান, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। মেডিকেল রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।
নিহতের শ্বশুর ছিদ্দিক মিয়া লালমোহন উপজেলার ১নং বদরপুর ইউনিয়নের সচিব। তার বাড়ি লালমোহনের কর্তারহাট এলাকায়। ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লামিয়ার স্বামী শরিফকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।
নিহতের শ্বশুর ছিদ্দিক মিয়া জানান, ঘটনার দিন বিকালে আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম। এ সময় বাসায় কেউ ছিল না। সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে দেখি ২য় তলার নিজ রুমে ফ্যানের সঙ্গে সে ঝুলছে। পরে লাশ নামিয়ে চরফ্যাশন হাসপাতালে নিয়ে যাই। তবে কী কারণে এবং কীভাবে লামিয়া মারা যেতে পারে তার কিছুই বলতে পারছি না।
লামিয়ার বড় বোন তানিয়া জানিয়েছেন, প্রায় ১ বছর আগে ছিদ্দিক মিয়ার ছেলে মো. শরিফ লামিয়াকে বিয়ে করে। এটি শরীফের ২য় বিয়ে। লামিয়ার কোনো ভাই নেই। চার বোনের মধ্যে দেখতে ফুটফুটে লামিয়া সবার ছোট। বাবা সৌদি আরব থাকেন। ৮ম শ্রেণির ছাত্রী থাকা অবস্থায় প্রায় ১ বছর আগে লামিয়াকে বাল্যবিয়ে করেন শরীফ। লামিয়া এখন কর্তারহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৯ম শ্রেণিতে পড়াশুনা করছে। এই শিশু বয়সে বিয়ে এবং শরীর থেকে হলুদের গন্ধ না সরতেই লামিয়ার এই রহস্যজনক মৃত্যুর বিষয়টি এলাকাবাসীর মধ্যে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে।
এলাকার শহীদ মেম্বার জানান, পুলিশি তদন্তের মাধ্যমে আসল ঘটনা উদঘাটনের দাবি করছে লামিয়ার পরিবার।
সারাদেশ