তালতলীর চরপাড়া গ্রামের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ঢালে ঝোপঝাড় থেকে উদ্ধার হওয়া গৃহবধূ সুখী আক্তার হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ গৃহবধূর স্বামী হাসান সরদার, শ্বশুর সাইফুল সরদার, শাশুড়ি ময়না ও চাচাতো দেবর আব্দুল্লাহকে গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার রাতে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। শনিবার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। একই সঙ্গে পুলিশি হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত আগামী ৬ ফেব্র“য়ারি তাদের রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেন। ওসি শহীদুল ইসলাম খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তালতলী উপজেলার চরপাড়া (নকরি) গ্রামের সাইদুল সরদারের ছেলে হাসান সরদারের সঙ্গে এক বছর আগে গেন্ডামারা গ্রামের বাবুল ফকিরের মেয়ে সুখী আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে গৃহবধূ সুখীর বনিবনা হচ্ছিল না। এর জের ধরে পরিকল্পনা করে ২৭ জানুয়ারি গৃহবধূর স্বামী হাসান সরদার ও শ্বশুর সাইফুল সরদার মাছ শিকারে সাগরে যান। পরে গোপনে সাগর থেকে এসে স্বামী হাসান সরদার গৃহবধূকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে হত্যা করে পুনরায় সাগরে চলে যায়। এ হত্যাকাণ্ড ভিন্ন খাতে প্রভাহিত করতে গৃহবধূর লাশের পরিহিত বস্ত্র অর্ধেক খুলে রাখে। যেন সবাই বুঝতে পারে গৃহবধূকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার দুদিন পর তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
বরিশাল বিভাগ