পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে বরিশাল শহর ও জেলার বাইরের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ঈদের দিন বিকেল থেকে ভ্রমন পিপাসু সকল শ্রেনি মানুষের মানুষের ঢল নেমেছে। অন্যদিকে বিনোদন কেন্দ্রগুলোর পথে পথে বসেছে মাটির তৈরী খেলনা পুতুল ও প্রিয়জনদের ঈদের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য গোলাপ সহ বিভিন্ন রকমারী ফুলের দোকান। বিশেষ করে শিশুদের পদচারণায় মুখর বিনোদন কেন্দ্রগুলো।
নগরীর প্রধান বিনোদনকেন্দ্র নগরীর কীর্তনখোলার তীর ত্রিশ গোডাউন, বঙ্গবন্ধু উদ্যান, শিশুপার্ক, মুক্তিযোদ্ধা পার্ক, আমানতগঞ্জ এলাকায় নবনির্মিত শহীদ সুকান্ত বাবু শিশুপার্ক, গ্রিন সিটি শিশুপার্ক, প্লানেট ওয়ার্ল্ড, মুক্তিযোদ্ধা কাঞ্চন পার্ক, কালিজিরা ব্রিজ, শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ব্রিজ ও চৌমাথা লেক পাড় সহ সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ তালতলী ও চরবাড়িয়া এলাকার বিনোদন এলাকাগুলো প্রিয় মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে। রঙ বেরঙের নতুন পোশাক পড়ে পরিবার পরিজন নিয়ে তরুণ-যুবক ও শিশু-কিশোরসহ সকল শ্রেণির মানুষ ক্ষনিকের আনন্দ প্রিয়জনের সাথে ভাগ করে নিতে ছুটে আসছেন বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে।
ঈদের দিনের চেয়ে ২য় দিন বিকেল থেকে বরিশালের বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে, পরিবারের সদস্য, বন্ধু ও বান্ধবের সাথে সেলফি ছবি তোলা, প্রিয়জনের সাথে হাঁটা, কির্তনখোলা নদীতে ঘন্টাব্যাপি নৌকায় ঘুরে বেড়ানো নিয়ে মেতে উঠেছে বিনোদন প্রিয় মানুষ। নগরীর অন্যতম উন্মুক্ত বিনোদন কেন্দ্র ত্রিশ গোডাউন এলাকায় সবচেয়ে উৎসবপ্রেমীদের ঢল নেমেছে। কীর্তনখোলা পাড়ের এ বিনোদন কেন্দ্র রয়েছে সেলফি প্রেমীদের দখলে।
নগরীর শিশুপার্কেও ছিলো বিনোদন প্রেমীদের উপচে পড়া ভিড়। পছন্দের রাইড আর মন মাতানো আকর্ষণ দেখতে ঈদের দিন বিকেল থেকেই ভিড় বেড়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। এছাড়াও ঈদের আনন্দ আরও বাড়িয়ে দিতে বরিশালের তালতলী ও চরবাড়িয়া এলাকার কির্তনখোলা নদীর তীরে গড়ে উঠা বিভিন্ন বিনোদন স্পট সহ খাবারের হোটেলগুলোতে উপচে পড়া ভীড় চোখে পড়ে। এছাড়া নগরীর বাহিরের বিনোদন কেন্দ্র যেমন-বাবুগঞ্জের দূর্গাসাগর, গুঠিয়ার নয়নাভিরাম বায়তুল আমান জামে মসজিদ কমপ্লেক্স গৌরনদীর ফারিহা গার্ডেন, বাটাজোরের শাহী ৯৯ পার্ক, প্রকৃতিতে ঘেরা পয়সারহাট ব্রীজ, দোয়ারিকা ও শিকারপুর সেতুসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার প্রত্মতাত্মিক স্থাপনা ঘিরে বিনোদন প্রিয় মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
বরিশাল, বরিশাল বিভাগ