নিজস্ব প্রতিবেদক :::: আন্দোলনে সক্ষম,তৃনমুলের বন্ধু, সাংগঠনিক যোগ্যতাসম্পন্ন নেতাদের নিয়ে হবে বরিশাল মহানগর বিএনপির কমিটি। এমনই আভাস মিলেছে দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছ থেকে। এর মাধ্যমে সরকারবিরোধী আন্দোলনের ধারাবাহিক ব্যর্থতা কাটাতে চায় দল। বিগত সময়ে এখানে দলের নেতৃত্বে থাকা নেতাদের কারণেই এই ব্যর্থতা বলে মনে করছেন সবাই।
তাই তো এবার নেতা নির্বাচনে চলছে ব্যাপক যাচাই-বাছাই।
আন্দোলন-সংগ্রামে কার কী ভুমিকা ছিল তার চুলচেরা বিশ্লেষণ। সেই ভুমিকার ওপর ভর করেই হবে পদ-পদবি বণ্টন। যেখানে থাকতে পারে একাধিক চমক। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসের যেকোন সময় নয়া কমিটি ঘোষণা হতে পারে।
গত ১৩ জুন মহানগর বিএনপির কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। মনিরুজ্জামান ফারুক ছিলেন এর আহ্বায়ক। সদস্য সচিব মীর জাহিদুল কবির। অনেকের মতে, আন্দোলনে ব্যর্থতার কারণেই ভেঙে দেওয়া হওয়া ওই কমিটি।
কেন্দ্রীয় বিএনপির একাধিক সূত্র জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনে ঝুঁকি নিয়ে যারা রাজপথে থেকেছেন মূলত তাদের নিয়েই নতুন কমিটি করার চিন্তাভাবনা হাইকমান্ডের।কমিটি গঠনের খবরে অনেকটা আশাবাদী ত্যাগী নেতাকর্মীরা।
দল থেকে সঠিক মুল্যায়নের আশায় রয়েছেন তারা।এদের মধ্যে আলোচনায় আছেন বিলুপ্ত কমিটির সদস্য ও ছাত্রদলের সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক আফরোজা খানম নাসরিন। নারী হলেও রাজপথে সবসময় সক্রিয় ভুমিকা রেখেছেন এই নেত্রী।,ছাত্রদল থেকে উঠে আসা এই নেত্রীর দলের প্রতি ত্যাগে অনেকের চেয়েই আগানো।গেল আন্দোলনের সময় মহানগর বিএনপির পক্ষে নাসরিনের প্রায় প্রতিদিনই কর্মসূচি ছিল। মামলার রেকর্ডেও নাসরিনের পাল্লা ভারী।
একাধীকবার জেল খেটেছেন,এমনকি দলের হাইকমান্ডের নির্দেশে করোনার সময় এবং বিভিন্ন উৎসব পার্বনে অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন।দলের প্রতি নাসরিনের ত্যাগের কথা অস্বীকার করবে না হয়ত কেউ।নারী হিসেবে স্রোতের বিপরীতে গিয়ে রাজনীতি করা নাসরিন এবার সঠিক মুল্যায়ন পাবে এমনটাই ধারনা করছেন তৃনমুলের কর্মী সমর্থকরা।তবে হাইকমান্ড কি করে সেটাই দেখার বিষয়।
বরিশাল, রাজনীতি, হোম