নিজস্ব প্রতিবেদক ::: বরিশাল নগরীর ধানগবেষনা রোড এলাকায় সালিশির নামে বৃদ্ধের গলায় জুতার মালা পড়িয়ে ঝাড়ুপেটা করার ঘটনায় জড়িতদের নাম বাদ দিয়ে মামলা নেয়ায় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন এক ভুক্তভোগী।
শনিবার (২৯ জুন) দুপুরে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে হাজির হয়ে অভিযোগটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী মোঃ রফিকুল ইসলাম।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে- মোঃ রফিকুল ইসলামের সাথে জমি জমা নিয়ে কতিপয় ব্যক্তির বিরোধ চলে আসছে। প্রভাবশালী মহল পূর্ব থেকেই অন্যায়ভাবে তার জমি আত্মসাৎ করার জন্য তাকে বেআইনীভাবে নানা প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে তিনি রাজী না হওয়ায় একটি মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে তাকে হেনস্তা করার জন্য বিসিসির ২৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফিরোজ আহম্মেদের নির্দেশে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর সেলিনাসহ অন্যান্যরা রফিককে জুতা এবং ঝাড়ু দিয়ে পিটিয়ে গলায় জুতার মালা পড়িয়ে তাকে এলাকায় ঘুড়ায় এবং সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে দেয়। ঘটনার এক সপ্তাহ পরে ভিডিও দেখে গণমাধ্যম কর্মীরা বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ করে। পরবর্তীতে রফিক বিগত ২০ এপ্রিল কোতয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা রুজু করেন। যার মামলা নং ৫২ তারিখ ২০/৪/২০২৪ যাহার জি.আর মামলা নং ২৬২। ওই মামলায় ঘটনার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত মৃত মোসলেম আলী হাওলাদারের ছেলে কাউন্সিলর মোঃ ফিরোজ আহম্মেদ, হোসেন খানের ছেলে মন্নান খান ও মন্নানের একমাত্র ভগ্নিপতি মিলনকে আসামী হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তদের থানা নিয়ে আসেন এবং তাদের সাথে কথা বলেন। পরের দিন ওই মামলার আসামীগণ রফিককে ফাঁসানোর জন্য পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি ধর্ষণ চেষ্টার মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং- ৫৩, তারিখ- ২০/০৪/২০২৪ ইং। সেই মামলায় রফিককে থানা ডেকে নিয়ে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়। রফিক ১ মাস ১০দিন জেলে ছিল। গত কয়েকদিন আগে তিনি জেল থেকে মুক্তি পেয়ে জানতে পারেন তার দায়ের করা মামলায় আসল অপরাধীদের আসামী করা হয়নি। ফিরোজ আহম্মেদসহ সকলের সম্পৃক্ততার বিষয়টি ভিডিও ফুটেজে প্রতিয়মান। স্থানীয় পত্রিকাসহ বিভিন্ন মিডিয়াতেও বিষয়টি প্রকাশিত হয়েছে। ফিরোজ আহম্মেদসহ আসামীরা রফিককে মামলা তুলে নিতে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে আসছে। বর্তমানে তার প্রাণ নাশের আশঙ্কা রয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত আসামীদের মামলায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান রফিক।
রফিকের দাবি- একটি মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে আমাকে হেনস্তা করার জন্য ২৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফিরোজ আহম্মেদের নির্দেশে নারী কাউন্সিলর সেলিনাসহ বেশ কয়েকজন আমাকে জুতা ও ঝাড়ু দিয়া পিটিয়ে জুতার মালা গলায় পড়িয়ে এলাকায় ঘুরায়। সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে আমি কোতয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা রুজু করি। ওই ঘটনার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত মোঃ ফিরোজ আহম্মেদ, মন্নান খান, মন্নানের একমাত্র ভগ্নিপতি মিলনকে আসামী হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করে একটি অভিযোগ দায়ের করি। পরের দিন ওই মামলার আসামীগণ আমাকে ফাঁসানোর জন্য পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা অভিযোগ এনে আমার বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি ধর্ষণ চেষ্টার মামলা দায়ের করেন। (যাহার মামলা নং- ৫৩)। সেই মামলায় আমাকে থানা ডেকে নিয়ে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়। পরে জেল থেকে মুক্তি পেয়ে দেখি আমার দায়ের করা মামলায় আসল অপরাধীদের আসামী করা হয়নি। ফিরোজ আহম্মেদসহ সকলের সম্পৃক্ততার বিষয়টি ভিডিও ফুটেজে প্রতিয়মান। ফিরোজ আহম্মেদসহ আসামীরা আমাকে মামলা তুলে নিতে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে। বর্তমানে আমার প্রাণ নাশের আশঙ্কা রয়েছে। আমি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত আসামীদের মামলায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য পুলিশ কমিশনার মহোদয়ের দারস্থ হয়েছি।
লিড নিউজ বরিশাল, বরিশাল বিভাগ