শিগগিরই নৌবহরে বৃহত্তম যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন যুক্ত হচ্ছে। এই জাহাজগুলো নোঙর ও চলাচলের জন্যই নৌ ঘাঁটি নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) উত্তর কোরিয়ার একটি নৌ ঘাঁটি নির্মাণ কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় তিনি এসব কথা বলেন। খবর রয়টার্সের।
রোববার দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ জানিয়েছে, তাদের নেতা কিম জং উন শিগগিরই নৌবহরে বৃহত্তম যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন যুক্ত করতে যাচ্ছেন। এই জাহাজগুলো নোঙর ও চলাচলের জন্যই নৌ ঘাঁটিটি নির্মাণ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন কিম।
বন্দর রক্ষার জন্য বিমান-বিধ্বংসী ও উপকূলীয়-প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েনের জন্য সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি। অবশ্য দেশটির কোন অঞ্চলে নৌ ঘাঁটিটি নির্মাণ করা হচ্ছে তা প্রকাশ করেনি কেসিএনএ।
এছাড়া রোববার একটি শিপইয়ার্ড পরিদর্শন করেছেন কিম। এসময় তিনি জাহাজ নির্মাণ প্রকল্পে বিনিয়োগ বাড়ানোর নির্দেশ দেন। এরপর একটি প্রতিরক্ষা শিল্প প্রতিষ্ঠানও পরিদর্শন করেছেন কিম। এসময় তিনি নতুন ও উন্নত সামরিক যন্ত্রপাতির কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে যুদ্ধাস্ত্র উৎপাদনকে আরও বৈজ্ঞানিক ও আধুনিকীকরণ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
উত্তর কোরিয়ার এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে শত্রুশক্তির বেপরোয়া পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করে দক্ষিণ কোরিয়া বলেছে, এগুলো আঞ্চলিক কৌশলগত স্থিতিশীলতাকে বিঘ্নিত করছে এবং পারমাণবিক সংঘর্ষের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়া রোববার টানা পঞ্চম দিনের মতো দক্ষিণ কোরিয়ার দিকে ময়লা আবর্জনা ভর্তি বেলুন পাঠানো অব্যাহত রেখেছে।
আন্তর্জাতিক