নাসির শরীফ,উজিরপুর প্রতিনিধিঃ বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নে কালিহাতা মাহমুদিয়া আলিম মাদ্রাসায় ভাঙাচোরা টিনের ঘরে পাঠদান,আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা। একটু বৃষ্টি হলেই বেঞ্চগুলো ভিজে যায় এবং শিক্ষার্থীদের ক্লাস রুমে বসার অনুপযোগী হয়ে পরে। এমনকি ক্লাস রুমগুলোর চালা ও বেড়ার অধিকাংশই ছিদ্র,ছিদ্র হয়ে জরাজীর্ণ অবস্থা হয়েছে। বর্তমানে এ রকম জরাজীর্ণ টিনের চৌচাঁলা শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান কোথাও আর নেই বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। আতঙ্কে শিক্ষক,শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
এই প্রতিষ্ঠানটি ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫ শতাধিক। লেখাপড়ায় ভালো ও মেধাবী শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক। বিভিন্ন উপজেলার একাধিক গ্রামের শত শত শিক্ষার্থী এই মাদ্রাসায় অধ্যায়নরত। কিন্তু মাদ্রাসাটি অবহেলিত। আগামী বর্ষাকালে পাঠদান ব্যহত হওয়ার শঙ্কা। তৎকালীন আওয়ামী লীগের স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের আমলে তার দোসররা এই প্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন মূলক কোন কাজ করেনি। তাই জরাজীর্ণ টিনের ঘর ছাড়া শিক্ষার্থীদের পাঠদানের বিকল্প নেই। একদিকে লেখা-পড়ায় বিঘ্ন,অপরদিকে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় শিক্ষার্থীরা। এ ব্যাপারে একাধিক শিক্ষার্থীরা বলেন এই মাদ্রাসার টিনের ঘরটি ভাঙাচোরা ও জরাজীর্ণ অবস্থায় থাকায় গরমের সময় অধিক গরম, শীতকালীন সময়ে অধিক ঠান্ডা ও বর্ষাকালে একটু বৃষ্টি হলেই বৃষ্টিতে বই খাতা ভিজে যায়। তাই আমাদের ক্লাস করতে খুবই কষ্ট হয়।
এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ মাওঃ মুখতার হোসাইন জানান, এ মাদ্রাসাটি শুরু থেকে পাকাকরণ বা পাকা ভবন নির্মাণ তো দুরের কথা এ পর্যন্ত টিনসেট ভবনও নির্মাণ হয়নি। বর্তমানে জরাজীর্ণ মাদ্রাসায় পাঠদান দেয়া অনুপযোগী হয়ে পরেছে। এছাড়া কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমাদের প্রতিনিয়ত আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে। বারবার আবেদন করা হলেও ফলপ্রসূ হয়নি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবিএম জাহিদ হোসেন জানান ভবন নির্মাণের জন্য আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা থাকবে এবং বিষয়টি ইউএনও মহোদয়কে অবহিত করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলী সুজা জানান আবেদন পেলে সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এদিকে অচিরেই ওই মাদ্রাসার পাকা ভবন নির্মাণের দাবি জানিয়ে উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলী সুজা’র সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী,অভিভাবক ও এলাকাবাসী।
বরিশাল, বরিশাল বিভাগ