নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার আল আমিন ভান্ডারি (৪৮) নামের এক কবিরাজকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে ধর্মগঞ্জ চতলার মাঠ এলাকায় মৃত তৈয়ুবআলী মেম্বারের বাড়ি থেকে পুলিশ আল আমিনের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে। আল আমি তার তৃতীয় স্ত্রী ও প্রথম সংসারের পুত্রকে নিয়ে এই বাড়ির নীচ তলার ভাড়াটিয়া ছিল।
আল আমিন বাড়ি পিরোজপুর জেলার সদর থানার দক্ষিন পুকুরিয়ার হারুনুর রশীদেও ছেলে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহতের ভাই আলিম শেখ জানায়, তার বড় ভাই আল আমিন এক সময় জাহাজে বাবুর্চি ছিল। তিন বছর পূর্বে সে জাহাজের চাকরি ছেড়ে দিয়ে নোয়াখালি তার শ্বশুর বাড়ী এলাকায় বসবাস করতে শুরু করে। দেড় বছর পূর্বে সে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ চতলারমাঠ এলাকায় এসে বসবাসের পাশাপাশি কবিরাজি শুরু করে। জাহাজে চাকরিকরাকালীন সময়ে একই জাহাজে কর্মরত হাফেজ মাস্টার নামের একজনের সাথে আল আমিনের পরিচয় হয়। সেই পরিচয়ের সূত্র ধরে হাফেজ মাস্টার প্রায় সময় আল আমিনের নিকট আসতো এবং রাত্রিযাপন করতো। বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে হাফেজ মাস্টার আল আমিনের নিকট আসে। তার সাথে একটি কালো ব্যাগও ছিল। তখন আল আমিন ভান্ডারি স্ত্রী ও ছেলেকে পাশের রুমে ঘুমানোর জন্য বলে। রাত ৪টার দিকে আল আমিন ভান্ডারি তার স্ত্রীকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে ভাত তরকারী নিজ রুমে দিয়ে সেমাই রান্না করে নিয়ে আসতে বলে। রান্না করা ভাত এবং সেমাই খেয়ে আল আমিন ভান্ডারি নিজ রুমের দরজা লাগিয়ে হাফেজ মাস্টারকে নিয়ে শুয়ে পড়ে। সকাল আটটার দিকে আল আমিনের স্ত্রী দরজা খোলা দেখতে পেয়ে উঁকি মেরে দেখে আল আমিনের রক্তাক্ত দেহ খাটের উপর পড়ে আছে।
আলিম শেখ আরও জানান, তার ভাইয়ের সাথে থাকা হাফেজ মাস্টার চারটার পরে কোন এক সময়ে তার ভাইকে গলাকেটে জবাই করে পালিয়ে গেছে। হাফেজ মাস্টার সাথে করে নিয়ে গেছে তার নিহত ভাইয়ের ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি নূরে আযম মিয়া জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনসহ ঘটনার সাথে জড়িত খুনিকে গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।
অনলাইন ডেস্ক