বিপুল সংখ্যক নিষিদ্ধ ট্যাবলেট টাপেনটাডলসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)।
ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের গ্রিন চ্যানেল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ চক্রের সদস্যরা একজনকে রোগী সাজিয়ে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যেত। এরপর সেখান থেকে বিমানে করে বিপুল পরিমাণ মাদক নিয়ে দেশে ফিরত। প্রতি মাসে চক্রের সদস্যরা অন্তত চার-পাঁচবার এভাবে যাতায়াত করত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ডিএনসির মেট্রো উত্তর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থার ঢাকা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মজিবুর রহমান পাটওয়ারী।
মজিবুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল একটি চক্র ভারত থেকে ফেনসিডিল ও টাপেনটাডলের বড় চালান এনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দিচ্ছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে কাজ শুরু করে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
চক্রের মূলহোতা সোলাইমান প্রতি মাসে ৪ থেকে ৫ বার কলকাতায় যাতায়াত করত। এরপর বিভিন্ন পণ্যের আড়ালে টাপেনটাডলসহ অন্যান্য অবৈধ মাদক দেশে নিয়ে আসত। এ কাজে সে তার একাধিক সহযোগীকে ব্যবহার করত। গত আগস্ট মাসে এ চক্রের একজন সদস্যকে ফেনসিডিলসহ বিমানবন্দরে গ্রেফতার করা হয়।
যেভাবে গ্রেফতার: বিপুল পরিমাণ মাদক নিয়ে আসার গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে একটি দল গ্রিন চ্যানেল এলাকায় অবস্থান নেয়।
আসামিরা ইমিগ্রেশন শেষে লাগেজ বেল্ট থেকে তাদের লাগেজ সংগ্রহ করে কাস্টমস চেকিংয়ের কার্যক্রম শেষ করে। সেখান থেকে বের হয়ে গ্রিন চ্যানেল পার হওয়ার সময় চক্রের পাঁচজনকে লাগেজসহ গ্রেফতার করা হয়।
তারা হলেন- চক্রের মূলহোতা সোলাইমান (৪৪), হৃদয় ইসলাম রাজু (২৯), একেএম আবু সাইদ (৪৭), আশীক সাইফ (৩৬) ও মো. ফারুক (৩৫)। তাদের কাছ থেকে লাগেজ থেকে ৪২ হাজার ২০০ পিস ‘খ’ শ্রেণির মাদক টাপেনটাডল নামে নিষিদ্ধ ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
জাতীয়